করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে পল্লী চিকিৎসক

আতঙ্কের মধ্যেও মাগুরার জেলার মহম্মদপুরে প্রায় ৫শ পল্লী চিকিৎসক (আরএমপি) স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তবে করোনা মোকাবেলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) মতো অন্যান্য সাপোর্টিং এই স্বাস্থ্যকর্মীদের নেই।

গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের কাছেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থাকেন গরিব, সুবিধাবঞ্চিত, খেটে খাওয়া মানুষ। করোনা আতঙ্কে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল বলছে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বাড়ি থেকে ফোনে সেবা নিতে। তখন রোগী আসছে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে।

কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম ছারা স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসকরা। চরম করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন তরা। জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি, গলা ব্যথা, ঠান্ডা জনিত রোগীই বেশি আসে। তবে করোনা মোকাবেলায় সুরক্ষা পিপিই, গ্লাভস, মাস্ক এবং অন্য কোনো সাপোর্ট নেই তাদের।

করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ রোগীই চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারগুলোতে। সারা দেশ কার্যত লকডাউনে থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের লোকজন এখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় পল্লী চিকিৎসকদের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বুধবার বিকালে সরেজমিন উপজেলার বাবুখালী, নাগড়া ও বিনোদপুর পল্লী চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটিতেই ৫-১০জন রোগী রয়েছেন। তারা সরাসরি চেম্বার কক্ষে গিয়ে ভিড় করে বসে আছেন। তাদের কারোই মুখে মাস্ক নাই। পাশাপাশি সামাজিক কোন দুরত্ব নাই। চিকিৎসকর্মীরা তাদেরকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে সেবা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা কেউ তা মানছেন না।

উপজেলার পল্লী চিকিৎসক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: নাঈম হাসান বাবলু বলেন, দৈনিক গড়ে অর্ধ শতাধিক রোগী আসে। গ্রাম এলাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা এসেছেন। তারা তেমনভাবে হোমকোয়ারেন্টিন মানছেন না। এতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। আল্প কিছু সুরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা করি। কিন্তু সরকারি বে-সরকারি ভাবে কেউ পাশে এসে দাড়ায় না।

মহম্মদপুর উপজেলা পল্লী চিকিৎসক (এমআরপি) সমিতির সভাপতি ডা: তিলাম হোসেন বলেন, উপজেলার প্রায় ৫শ পল্লী চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে করোনা মোকাবিলায় এসব স্বাস্থ্যকর্মীর সুরক্ষা সামগ্রী অতীব জরুরি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোকছেদুল মোমিন বলেন, সুরক্ষা সরঞ্জাম ছারা রোগীর সেবা দিতে গেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। এভাবে রোগী দেখলে ভাইরাস সংক্রমণ বেশি হতে পারে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তা সামগ্রী অনেকে নিজ উদ্যোগেই মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাটাইজার ব্যবহার করে সেবা দিচ্ছেন।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর