গত তিন মাসে ধর্ষণের শিকার ১৬৪ শিশু

চলতি বছরের তিন মাসে ১৬৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শুধু এপ্রিল মাসে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ৩৯ জন। ২০১৮ সালে ৮ হাজার ৫৮৮ জন শিশু সহিংসতার শিকার হয়। উক্ত সময়ে ২৫৪ জনকে হত্যা করা হয়। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে আইনি কাঠামো’ বিশ্লেষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন ও মতবিনিময় সভায়।

সভায় শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধ করা না গেলে শিশুবান্ধব সরকার বলে আমরা যে গর্ব করি তা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, দেশে শিশু নির্যাতন বন্ধে অনেক আইন আছে কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন নেই। কেন আইনের বাস্তবায়ন নেই তা আমাদের পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে। কেন প্রতিবাদ করতে গিয়ে নুসরাতের মৃত্যু হয়। তাহলে কি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না। আমাদের অনেক অর্জন আছে, শিশুকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে তা ম্লান হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত শিশুবান্ধব ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনাও ভীষণভাবে শিশুবান্ধব, তাই আমরা আশা করি শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধে আমরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও মানবাধিকার কমিশন। অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ওল্ড বেইলি চেম্বার কর্তৃক ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে আইনি কাঠামো’ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

বিদ্যমান আইনগুলো শিশুর নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট কিনা, আইনগুলো কি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয় কি-না এবং শিশু নির্যাতন রোধে সংশ্লিষ্ট মহল কিভাবে কাজ করে তা অনুধাবন করার জন্য ১৩ টি আইন, ৪টি নীতি, ৮টি প্রবন্ধ পর্যালোচনা এবং বেশ কয়েকজনকে ইন্টারভিউ করে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয় ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন করা হয়, ২০১৩ সালে শিশুআইন আবার নতুন করা হয় কিন্তু এখনও বিধি হয়নি। ২০১১ সালে জাতীয় শিশুনীতি করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ও বিদ্যমান কিন্তু তারপরও শিশু নির্যাতন চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুকে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। তাই মায়েরা যদি শিশুর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আসে তবে শিশু নির্যাতন কমবে বলে মত প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর এডভোকেসি পরিচালক সাবিরা সুলতানা নুপুর, পরিচালক চন্দন গোমেজ, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব এ জে এম এরশাদ আহসান হাবিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব আনোয়ারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর