চট্টগ্রামে ত্রাণের চাল বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন ও সন্দেহের সৃষ্টি

করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দী দিন মজুর সহ বিপুল সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা পাঠালেও ত্রান বিতরণ কার্য্যক্রম নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানান প্রশ্ন ও সন্দেহ।

জানা যায়, টানা কয়েকদিনের ছুটিতে কর্মহীন বেরোজগার মানুষকে সাহায্যেের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই বরাদ্দপত্রে বিতরণের জন্য স্থানীয় সব সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশনাও ছিল।

কিন্তু চট্টগ্রামে বিতরণের সময় ‘জনপ্রতিনিধি’ বলতে আমলে নেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আর কাউন্সিলরদের। সাংসদরা সেখানে একেবারেই উপেক্ষিত। তাদের এক অর্থে এড়িয়েই যাওয়া হয়েছে।

সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ত্রাণ কিভাবে কাদের মাধ্যমে কাদের কাছে বিতরণ হচ্ছে সে ব্যাপারেও কেহ কিছু জানেনা। এ ব্যাপারে তালিকা চাওয়া হলেও কোন তালিকা পাননি চট্টগ্রামের স্থানীয় তিন সংসদ সদস্য।

সরকারের দেওয়া ত্রাণ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিজের নামে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ। সরকারের দেওয়া ত্রাণ সিটি করপোরেশনের নামে বিতরণের বিষয়ে সকলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এমন অস্বচ্ছতার মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, ‘সামনে যত ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। তা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে সমন্বয় করেই বিতরণ করতে হবে।’

চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এমএ লতিফ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সমন্বয়ে আমাদের এলাকায় ত্রান বিতরণের পূর্বনির্দেশনা থাকলেও আমাদের কেহ কিছু জানায়নি।

এমনকি কোন এলাকায় কাদের কতটুকু ত্রান সহায়তা দেওয়া হয়েছে তার তালিকা চেয়েও পায়নি। সিটি করপোরেশন কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে সরকারি ত্রাণ নিজের নামে বিতরণ করছে এবং তালিকা দিচ্ছেনা। এভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হবে জানলে তো আমরা চাল নিয়ে আসতাম না। তাদেরকে দিয়েই বিতরণ করাতাম।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, ‘ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ২০ টন চাল বিতরণ হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। এখন আরও ২০ টন চাল বিতরণের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে বিতরণের জন্য কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়েছি।

একই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে চাল বিতরণ করতে গিয়ে সাংসদদের সাথে বৈঠক না করে করপোরেশনকে চাল বিতরণ করতে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এমন হবে না। এজন্য আগামী রোববার (৫ এপ্রিল) সমন্বয় সভা আহ্বান করা হয়েছে।

কেএ/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর