করোনা মোকাবেলায় শেরপুরে ১৭৬ জনকে জরিমানা, তবুও ঘরে থাকছে না কেউ

বগুড়ার শেরপুরে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সবাইকে ঘরে রাখতে ১৯ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলাম রানা। এ সময় সরকারি বিধি না মানায় ১৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন তারা।

মামলার পরেও ঘরে থাকছেনা কেউই। সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের ধুনটমোড়, কলেজরোড, মাদ্রাসাগেট, উপজেলার খনিপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী বাজার, কয়েরখালি বাজার, শালফা বাজার, মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা, খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি বাজার, পারভবানীপুর বাজার সহ ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইন, সরকারি নিদের্শ না মানা, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখ ও লকডাউন বিধি অমান্য গত ১ মাসে ১৯ টি ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে ১৭৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। যাতে সবাই ঘরে থাকে, নিরাপদে থাকে। কিন্তু এসকল কিছুর তোয়াক্কা না করে সবাই বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন। এতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলাম রানা বলেন, জনগনকে সচেতন, সামাজিক দুরত্ব বজায় ও ঘরে রাখতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু সাধারণ জনগন তা মানতেই চাচ্ছেনা। এ জন্য আমরা বিভিন্ন জনকে জরিমানাও করেছি। কিন্তু তাতেও কাঙ্খিত ফল মিলছেনা। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার কাজ বিঘ্নিত হবে। এতো কিছু করেও যদি কাজ না হয় তাহলে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার / ডাব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর