পাবনায় গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

পাবনা সুজানগরে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শশুরবাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী ‘বিচ্ছু বাহিনীর’ সদস্য রাফিউল আযম রাফি (২৪) কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করেছে। বুধবার ভোর রাতের দিকে সুজানগর পৌরসভার ভবানীপুর এলাকায় এই র্নিমম ঘটনা ঘটে।

সুজানগর থানা পুলিশ জানান, সরকারের বনবিভাগে চাকুরির সুবাদে ২০১৩ সালে সুজানগর উপজেলায় বদলী হয়ে আসেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. শামসুল আরেফিন। একমাত্র মেয়ে অসম্ভব সুন্দরী এবং প্রচন্ড মেধাবী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশ্বিকে সুজানগরের শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদালয়ে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করান।

ঐ সময় স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই এলাকার ‘বিচ্ছু বাহিনীর’ সদস্য চিহিৃত সন্ত্রাসী রাফিসহ অন্যরা মেয়েটিকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। এর মধ্যে রাফি তার বিচ্ছু বাহিনী দিয়ে ঐশ্বিকে অপহরণ করে এবং বিয়ে করে। ২০১৭ সালে ঐশ্বি সুজানগরের শহীদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পায় এবং ২০১৯ সালে সুজানগরের নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি তেও গোল্ডেন এ প্লাস পায়। সুত্র জানায়, ভাল রেজাল্ট করার পরও পারিবারিকভাবে খারাপ এবং সন্ত্রাসী পরিবার হওয়ায় মেয়েটির উপর শশুড় ও স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে।

নিহতের মা অ্যাডভোকেট সাহেরা সাঈদ জানান, নিহতের শশুর রাজা শেখ সুজানগরের সন্ত্রাসী এবং মাতাল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত এবং এই পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে এলাকার মানুষও অতিষ্ট।

তিনি আরো জানান, তার মেয়েকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুলিশ, এলাকাবাসী এবং আমরা এসে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় জখমের চিহৃ পাই। এই হত্যার ঘটনায় নিহতের শশুর রাজা শেখ এবং তার ছেলে বিচ্ছু বাহিনীর সদস্য রাফিউল আযম রাফিকে আসামী করে মামলা করা হলে পুলিশ রাফিকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা জানান, ঐ পরিবারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঐশ্বির স্বামী রাফিকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া নিহতের শশুর রাজা শেখ কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সুরতহাল রিপোর্টে লাশের গায়ে অসংখ্য জখমের চিহৃ পাওয়া গেছে।

বার্তা বাজার / ডাব্লিও.এস