নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারো। আর তাই, ব্রাজিলজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ব্রাজিলে ইতিমধ্যেই ১,১২৮ জনের করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে, প্রাণ গিয়েছে ১৮ জনের।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহেই স্বীকার করেছেন, এ ভাবে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে এপ্রিল মাসের গোড়াতেই ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্টের কোনও হেলদোল নেই। সম্প্রতি এক বিশাল প্রতিনিধি দল নিয়ে আমেরিকা থেকে ঘুরে এসেছেন বলসোনারো। তাঁর প্রতিনিধি দলের ২০ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত। বলসোনারোর নিজেরও পরীক্ষা হয়েছে। তাঁর করোনাভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না, অভিযোগ এমনই।
রিও ডি জেনেইরো, সাও পাওলো-সহ আরও অনেক রাজ্যের গভর্নর শাটডাউন ঘোষণা করে জনগণকে সেল্ফ কোয়ারান্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাতেও বেজায় ক্ষুব্ধ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘ব্যাপকহারে সেল্ফ কোয়ারান্টিন, শাটডাউন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এটা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা। ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় দেওয়া হলে তা বিষ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমনই হচ্ছে। আমার দলের আমি ম্যানেজার এবং আমার দল খুব ভালো খেলছে।’
ব্রাজিলের জনগণ অবশ্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহমত নন। তাঁদের দাবি, সংক্রমণ রুখতে বলসোনারো যে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না, সেটাই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট নিজে রবিবার বাসভবনের সামনের দাঁড়িয়ে অনুগামীদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। করোনাভাইরাস রোধে সর্বত্র যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে বলসোনারোর এই আচরণ সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম সমালোচিত হয়। কিন্তু তাতেও বলসোনারোর সম্বিত ফেরেনি। বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থালা-বাসন বাজিয়ে বলসোনারোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। কিন্তু তাতে কি সম্বিত ফিরবে? থাকছে প্রশ্ন।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি