ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে ভূমিকম্প, ক্রমেই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা

ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হল ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জ। সোমবার এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেল, সড়ক ও বিমান পরিবহণ পরিষেবা।এদিনের কম্পনের উৎসস্থল ছিল ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার ৬০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পামপাঙ্গা প্রদেশে। এখানেই ৮ জন মারা গিয়েছেন ও অন্তত পক্ষে ২০ জন জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রদেশের গভর্নর লিলিয়া পিনেডা।

দ্বীপপুঞ্জের প্রধান দ্বীপ লুজনে ধসে পড়া চারতলা বাণিজ্যিক ভবনের নীচে চাপা পড়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে। ভারী যন্ত্রপাতি ও সন্ধানী কুকুর নিয়ে উদ্ধারকাজে নেমেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়ির একতলা সম্পূর্ণ বসে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে কান্না ও আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার্সের উপর অবস্থানের কারণে ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বলে বরাবরই চিহ্নিত হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে পর পর ঘোড়ার ক্ষুরের আকৃতির একাধিক আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জে। ভূমিকম্প ছাড়া বছরে গড়ে ২০টি টাইফুনের নিশানাও হয় ফিলিপিন্স। তার ফলে অতিবর্ষণ ও কাদার ধসের শিকার হন দ্বীপবাসীরা।

এদিনের কম্পনের পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পামপাঙ্গার বিমানবন্দর। বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি উড়ান। কম্পনের জেরে ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দরের চেক-ইন বিভাগের কিছু অংশ। বেশ কিছু সড়কেও এদিন ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাস্তার বাসের বাতিস্তম্ভ উপড়ে গিয়েছে। বিপর্যয়ের সময় দেশবাসীকে আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে ফিলিপিন্স সরকার।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর