করোনাভাইরাস: পিপিই গ্লাভস জীবাণুনাশক সঙ্কটে অসহায় চিকিৎসক-নার্সরা

বর্তমান সময়ে খারাপ অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ । করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জন মারা গেছে আর ২৭ জন আক্রান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে ।তাই মানুষের মধ্যে এক প্রকার উৎকন্ঠা বিরাজ করছে । কি হবে তাদের সামনের দিনগুলি । পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), গ্লাভস, জীবাণু নাশকসহ অন্যান্য সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে ময়মনসিংহে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে তাদের মাঝে।

এদিকে বিএমএ নেতারা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সঠিক সময়ে উদ্যোগ না নেয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছেন চিকিৎসকরা।তবে পিপিই ছাড়া অন্যান্য সরঞ্জামের কোনো সমস্যা নেই বলে জানায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য সিভিল সার্জন বললেন অন্য কথা, রোববার দেড়শো পিপিইসহ কিছু নিরাপত্তা সামগ্রী পাওয়া গেছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন শতশত রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। আর হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন দুই হাজারের বেশি রোগী।

বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এসব সমস্যা সবচেয়ে প্রকট।

এক চিকিৎসক বলেন, কোন রোগীটা করোনাতে আক্রান্ত আমরা সেটা জানি না। আরেক চিকিৎসক বলেন, জনসাধারণের চেয়ে অধিক ঝুঁকিতে রয়েছি। যেকোনো সময় চিকিৎসকদেরও করোনা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

এক নার্স বলেন, আমরা অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আরেক নার্স বলেন, প্রটেকশনের জন্য আমরা কিছুই পাইনি। গ্লাভস, জীবাণুনাশকও নাই। এদিকে বিএমএ নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় সঠিক সময়ে উদ্যোগ না নেয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছেন চিকিৎসকেরা।

বিএমএ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি ডা. মো. মতিউর রহমান ভূঁইয়া জানান, ঝুঁকি মোকাবিলায় রোগী দেখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের যে ধরনের প্রটেকশন দরকার এ মুহূর্তে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই।

তবে পিপিই ছাড়া অন্যান্য সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক। আর সিভিল সার্জন বলছেন, দেড়শ’ পিপিইসহ কিছু নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উপ পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। তারাও আমাদের আশ্বাস্ত করছে। এ ধরনের সরঞ্জামের সমস্যা হবে না। তবে পিপি সমস্যাটাও এ সপ্তাহের মধ্যে কেটে যাবে।

ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম মসিউল আলম বলেন, পিপিএ পেয়েছি ১৫০টা, ৭শ’ গ্লাভস, দেড়শ’ গ্লাস, দেড়শ’ সার্জিকাল গাউন পেয়েছি। ময়মনসিংহে দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ তিন শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।

বার্তা বাজার / এম এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর