বিকাশে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা আজও পাইনি কামরুজ্জামান

বিকাশ এ্যাপসের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারকের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও দীর্ঘ এ বছরের টাকা ফেরত পাইনি ঝিনাইদহের অসহায় কামরুজ্জামান। টাকা ফেরত না পেয়ে নিজের চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তিনি।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ জুন ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়া এলাকার হাশেম মুন্সীর বিকাশ একাউন্ট থেকে ৬০ হাজার ৮’শ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগি কামরুজ্জামান পরের দিন ঝিনাইদহ সদর থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ৫ জুলাই মামলা আকারে নথিভুক্ত হয়। মামলা দায়েরের পর প্রতারক চক্রের পাঁচ জনের পরিচয় ও জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংগ্রহ করে থানার এজাহারের সাথে নথীভূক্ত করা হয়। আর এ পর্যন্ত মামলাটি ২ বার কোর্টে শুনানীর জন্য উঠেছে। কিন্তু আজও আসামীদের গ্রেফতার করা হয়নি বা তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগি কামরুজ্জামান বলেন, আমি গুরুতর অসুস্থ। ধার-দেনা ও অনেক কষ্ট করে ৬০ হাজার ৮’শ যোগাড় করেছিলাম ভারতে চিকিৎসা করানোর জন্য।
কিন্তু প্রতারক চক্র আমার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা খোয়া যাওয়ার কারণে আমি চিকিৎসা করাতে পারছিনা। আমি মামলা দায়েরের পর প্রতারক চক্র
চিহ্নিত হলেও আজও তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফলতির কারণে আসামীরা গ্রেফতার হচ্ছে না আর তার টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। পুলিশ এই প্রতারণা করা সিম গুলোর মধ্যে কয়েকটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। যার মধ্যে একটি সিমে ১৯ হাজার ৫’শ টাকা আছে। এই টাকাটিও আজ পর্যন্ত প্রদান করার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। মামলাটির দ্রত সমাধানের জন্য তিনি পিপিআই অথবা সিআইডিতে হস্তান্তর করার দাবি জানান তিনি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর