সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে ‘কামসূত্র’ অভিনেত্রী সায়রা

সবাইকে কাঁদিয়ে অকালে চলে গেলেন ‘কামসূত্র থ্রিডি’ অভিনেত্রী সায়রা খান। রূপেশ পল পরিচালিত এই ছবিটি এখনও পর্যন্ত এদেশে মুক্তি পায়নি। ২০১৩ সালের এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল শারলিন চোপড়ার। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণবশত হঠাৎ ছবি থেকে সরে দাঁড়ান শারলিন।

এরপরে শারলিনের চরিত্রের জন্য নির্বাচন করা হয় সায়রা খানকে। এত কম বয়সে অভিনেত্রীর আকস্মিক জীবনাবসানে শোকাহত ‘কামসূত্র থ্রিডি’ ইউনিট। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই জীবনাবসান হয় অভিনেত্রীর।

ছবির পরিচালক রূপেশ পল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আমি হঠাৎ খবরটা পেয়েছি। এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। পরে দেখলাম জানার পরেও কোথাও এই খবরটি প্রকাশিতই হয়নি। এটা জানতে পেরে আমার আরও বেশি খারাপ লাগে। ওর কৃতিত্বের জন্যই ওকে নিয়ে লেখা উচিত। এত ভালো একজন অভিনেত্রীর খবর কেউ জানতে পারবেন না, সেটাই আমার কাছে খুব কষ্টকর।

‘কামসূত্র থ্রিডি’ ছবিটি ২০১৩ সালে প্রদর্শিত হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবং বহু সমালোচকের প্রশংসা পায়। ছবির নামের সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় টেক্সট কামসূত্র-এর মিল থাকলেও ছবিটি কিন্তু শুধুই কামসূত্র টেক্সট-নির্ভর নয়। এমনটা এর আগে বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন রূপেশ। বরং ইতিহাস-আশ্রিত একটি গল্পে, প্রাচীন ওই টেক্সটের বেশ কিছু অংশ মিশেই তৈরি হয় রূপেশ পলের ‘কামসূত্র থ্রিডি’ ছবিটি।

এই ছবির শুরু থেকেই ঠিক ছিল শারলিন চোপড়াই থাকবেন মূল চরিত্রে। কিন্তু শারলিন প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ায় নতুন করে অভিনেত্রীর সন্ধান করতে হয়। রূপেশ জানিয়েছেন যে সায়রাকে এই চরিত্রের জন্য রাজি করাতে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করতে হয়েছিল। অত্যন্ত রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে সায়রা প্রথমে এমন একটি সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে চায়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে নিজেই এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করে।

রূপেশ বলেন, সায়রাকে রাজি করাতে কয়েক মাস কেটে গিয়েছিল। তবে সেই অপেক্ষার সুফলও পেয়েছি আমরা। ও ছাড়া আর কেউ ওই চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারত না।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর