আশুলিয়ায় রিক্সা চালককে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর ও রিক্সা আটক

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর এবং রিক্সা ও মোবাইল ফোন আটকের ঘটনায় আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও সদস্যের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি নং-১১৯৭) দায়ের করেছে রিক্সা চালক এনামুল হক। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার দক্ষিন বালাপাড়া এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।

জিডির বিবরণে জানা যায়, এনামুল পেশায় একজন রিক্সা চালক। বর্তমানে কাঠগড়ার ভাড়া বাসায় থেকে নিজের অটোরিক্সা চালান। সোমবার (১৬ মার্চ) বিকাল আনুমানিক ০৫:০০ ঘটিকার সময় জিরাবো বাসষ্ট্যান্ড থেকে তার খালি অটোরিক্সা চালিয়ে কাঠগড়া কবরস্থান পৌঁছানোর পর অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি মোবাইলে ফোন করে তাকে জানায় যে, কবরস্থানের পাশে একটি ভ্যান দাঁড়ানো আছে। ভ্যানের ভিতর ৩ বস্তা চাউল আছে তা নিয়ে কাঠগড়া মন্ডল পাড়ায় আসতে।

পরে সে সরল মনে ৩ বস্তা চাউল তার অটোরিক্সায় উঠিয়ে কাঠগড়া বাজারে নিয়ে গেলে বিবাদী ১। জাকির দেওয়ান (৫৫),পিতা-অজ্ঞাত, ২। আহসান উল্লা মেম্বর (৫৫), পিতা-অজ্ঞাত, ৩।মো. রফিকুল ইসলাম(৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, সর্ব সাং কাঠগড়া বাজার, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা সহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন বিবাদী তাকে মারধর করিয়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা, ফুলা জখম করে। এসময় এনামুলের অটোরিক্সা, তার ব্যবহৃত নাম্বারের মোবাইল ফোন রেখে তাকে তার ভাড়া বাড়ীর মালিক বাবুল শিকদারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিবাদীরা তাকে হুমকি দেয় যে, সে কাঠগড়া এলাকায় থাকিলে তাকে জানে শেষ করে ফেলবে। বিবাদীরা তার যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে বিধায় বিষয়টি আশুলিয়া থানায় ডায়েরী ভূক্ত করে রাখা হলো।

এ বিষয়ে ১ম অভিযুক্ত কাঠগড়া বাজার কমিটির সভাপতি জাকির দেওয়ানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এরপর কথা হয় ৩য় অভিযুক্ত দোকান মালিক (ভাই ভাই রাইচ) মো. রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, রিক্সা চালককে আমি কোন প্রকার মারধর করিনি এবং আমি ওর রিক্সা কিংবা মোবাইলও রাখিনি। মোবাইল ও রিক্সা আটকে রেখেছে আহসান উল্লাহ মেম্বার।

এবিষয়ে মুঠোফোনে ২য় অভিযুক্ত কাঠগড়া বাজার কমিটির সদস্য ও দোকান (মিতু রাইচ) মালিক আহসান উল্লাহ মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিক্সাওয়ালা চোর। ও যে চোরের দলের একজন, আমার কাছে স্বাক্ষী আছে।

আহসান উল্লাহ মেম্বারের এমন বক্তব্যের পরিপেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় যে, তাহলে চোর বা রিক্সা চালককে পুলিশে সোপর্দ করেননি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিক আছে, সোমবার বিকালে বিচার করে থানায় দেওয়া হবে। কাঠগড়া এলাকায় যত চুরি, ডাকাতি ও খুন হয় তা সব এই ভ্যান আর রিক্সা চালকরাই করে। দেখেন ও কোন মামলায় ফাঁসে!

এবিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই মিরাজ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্তের পাশাপাশি বাদী ও বিবাদীগণকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর