যশোর অভয়নগরের নকল ঔষধ কারখানা শনাক্ত,মূলহোতা পলাতক

যশোর র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভয়নগরে আবাসিক এলাকার বাসা বাড়িতে নকল ওষুধ কারখানা সনাক্ত করেছে।এসময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। ‘গ্যাসট্রিকে ওষুধ সেকলো-২০’ নকল করে লাইফ কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ‘সেকনো-২০’ নামে উৎপাদন করে বাজারজাত করছিল একটি চক্র। (বৃহস্পতিবার১৮ই এপ্রিল)রাতে র‌্যাব সদস্যরা অসাধু চক্রটিকে সনাক্ত করেছে।তবে মূল অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি।

জানা যায়,নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখোলা গ্রামের আবাসিক এলাকায় ঢাকার জনৈক সাইফুল ইসলাম নামের ব্যক্তি বসবাসের কথা বলে ঘর ভাড়া নেন।সেখানে তৈরি করা হতো নকল ওষুধ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ‘সেকনো-২০’নামের(গ্যাসের ট্যাবলেট),নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির মেশিন ও সরঞ্জামাদি, ওষুধের খালি মোড়ক ও নকল ওষুধ তৈরির কাঁচামাল জব্দ করেছে।এসময় ভেজাল ও নকল ওষুধ সরবরাহকারী প্রফেসরপাড়া মোড় এলাকার বাসিন্দা আলামিন নামের এক ভ্যান চালককেও আটক করে র‌্যাব।র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এএসপি)সুরত আলম সাংবাদিক লোকমান হোসেনকে জানান,নওয়াপাড়া বাজারে ভেজাল ও নকল ওষুধ সরবরাহ হচ্ছে এমন খবর পেয়ে র‌্যাব-৬ এর ডিএডি কাউসার আজমের নেতৃত্বে ১৬সদস্যের একটি টিম নওয়াপাড়ায় যশোর-খুলনা মহাসড়কের টিএ্যান্ডটি অফিসের সামনে অভিযান শুরু করে।এসময় একটি ভ্যানে দুটি ভর্তি কার্টুন দেখে সন্দেহভাজন তল্লাশি করে দুই কার্টুন সেকনো-২০(গ্যাসের ওষুধ) নামের নকল ওষুধ জব্দ করে ভ্যান চালককে আটক করা হয়।

ভ্যানচালক জানায়,কার্টুন ভর্তি ওষুধগুলো কেশবপুরের পাঁজিয়ার নারায়নপুর গ্রামের হালিম সরদারের ছেলে প্রিন্স তাকে ওষুধগুলো কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে নেয়ার জন্য বলে।প্রিন্স কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে অপেক্ষা করবে।সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সে ভ্যান ভাড়া পরিশোধ করবে। পরে ভ্যান চালকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গুয়াখোলা গ্রামের আবাসিক এলাকায় একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়।এসময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ (সেকনো-২০)জব্দ করা হয়।লাইফ কেয়ার নামের এই প্রতিষ্ঠানটি ‘সেকনো-২০’ নকল গ্যাসট্রিক আলসার প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করে অনেক দিন যাবত বাজারজাত করে আসছিল।তবে ভবনে অভিযান শুরুর আগেই ওষুধ তৈরির সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়।কারখানার ভিতর থেকে নকল ওষুধ তৈরির দুইটি মেশিন,সরঞ্জামাদি,ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও খালি প্যাকেট জব্দ করা হয়।খালি প্যাকেটগুলোর গায়ে লেখা আছে লাইফকেয়ার ‘সেকনো-২০’।ওই বাসার একটি কক্ষে কয়েকটি পাত্রে পাতা শুকিয়ে গুড়া করা অবস্থায় পাওয়া যায়। মেইন গেটে একটি সাইন বোর্ড রয়েছে।তা খুব ছোট আকারের। লেখা রয়েছে লাইফ কেয়ার ফুড ও বিভ্যারেজ।এই অসাধু চক্রটি বিভিন্ন গাছের শুকনা পাতা গুঁড়া করে তার সাথে কেমিক্যাল মিশিয়ে সেকনো-২০ নামের এই ভয়াবহ ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলো।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর