জলাধারের ৫৯৩ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে

সারাদেশে নদ-নদী, খাল ও জলাশয় দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে পাঁচ হাজার ৫৭৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ৫৯৩ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ড সারাদেশের ছোট নদী ও খাল দখলমুক্ত করার জন্য গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সারাদেশে অভিযান শুরু করে। জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড একযোগে নদী, খাল ও জলাশয়ের তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছে। শুধু তাই-ই নয় দখলকারীরা অভিযান শেষ হওয়ার পরপরই পুনরায় দখল করতে ফিরে আসত কিন্তু এবার পুনরায় দখল ঠেকাতে খালের তীরে গাছ ও হাঁটার পথ নির্মাণ করছে সরকার।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান এ অভিযানে রাজশাহীতে এক হাজার ২২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৮৮ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জেই ৭০০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। খুলনার বিভিন্ন নদীর তীর থেকে এক হাজার ৩৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৪০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু মাগুরায় সর্বোচ্চ ২৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে।

অভিযানের সময় রংপুরে ৬৫৭টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে নদীতে দখল প্রায় ৪৬ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে প্রায় ৪৬৫টি অবৈধ কাঠামো উচ্ছেদ হয়েছে। বরিশালে প্রায় ১৬ একর জমি উদ্ধার ও ২০১টি অবৈধ কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ঢাকায় মোট ৭৬৮টি স্থাপনা ভেঙে নদীর তীরের প্রায় ৫৯ একর জমি উদ্ধার এবং ময়মনসিংহে ৮৬৩টি অবৈধ কাঠামো উচ্ছেদ করে ৫৮ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে প্রায় ৫৫০টি কাঠামো উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এদিকে, সিলেটে ২২৫টি অবৈধ স্থাপনা নদী তীর থেকে ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং চট্টগ্রামে মোট ৮০০টি স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ২৭৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ

বার্তাবাজার/কে.জে.পি