সুন্দরগঞ্জ ট্রাজেডির ৭ বছর: বিচার না হওয়ায় হতাশা

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী, সুন্দরগঞ্জ ট্রাজেডির ৭ বছর আজ। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

২০১৩ সালের আজকের দিনে মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, লুট ও আগুন দেয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। কুপিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশের চার সদস্যকে। আহত হন আরো ১৮ পুলিশ সদস্য। পরে, তাদের ধারাবাহিক হামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা নিহত হন।

এ ঘটনায় ২৩৪ জনকে আসামি করে মামলা হলেও দীর্ঘ সময় পরেও বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তবে, চলতি বছরের মধ্যেই মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে মামলার প্রধান আসামি জামায়াতের সাবেক এমপি মওলানা আব্দুল আজিজসহ মূল হোতারা এখনও পলাতক। বাকিরা জামিনে থাকায় আতঙ্কে আছেন সাক্ষীরা।

স্থানীয়রা অতিদ্রুত মামলার কাজ সম্পন্ন করে অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, যারা এ অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ চলছে।

গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, ইতিমধ্যে ১৫ জন সাক্ষী শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই এই মামলার কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ডিবিসি নিউজ

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর