বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে বাঙ্গালী জাতি ২১ বছর অন্ধকারে ছিল: ইবি উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে বাঙ্গালী জাতি দীর্ঘ ২১ বছর অন্ধকারে অমানিশার ভেতরে ছিল। তিনি আরো বলেন, বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ক্যারিসমাটিক নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। তার নেতৃত্বে আমরা দেখেছি ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন হয়েছে এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পেছনে যতগুলো বাঁক চড়াই উতরাই রয়েছে সবগুলো তিনি অত্যন্ত সফল ও সার্থকভাবে পার করছেন। তার রাজনীতির যোগ্য উত্তরসূরী তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক সেমিনার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের কত উন্নয়ন এবং অর্জন করছে কিন্তু দুর্বৃত্তদের কিছু ঘটনার জন্য সকল অর্জন নষ্ট করে দিচ্ছে। দলের দুর্বৃত্তদের কারণে রাজনীতির প্রতি মানুষের অশ্রদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের কাছে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালিদের দীর্ঘদিনের সুস্থ সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র এদেশবাসী কখনো মেনে নেয়নি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী; বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব মিল্টন বিশ্বাস; সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট এ কে এম শহীদুল হক এবং কবি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফোরামের সদস্য-সচিব-২ সৌরভ জাহাঙ্গীর।

সেমিনারে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। প্রবন্ধে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছেন সেই প্রসঙ্গ ওঠে এসেছে।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম ও প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বক্তব্য দেন। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, প্রগতিশীল কলামিস্ট এবং তরুণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর