ববিতে নির্যাতন ও হামলার ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

মো: ইমদাদুল ইসলাম, ববি প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সাম্প্রতিক শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হামলার ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের বাংলা বিভা‌গে ২০১৮-১৯ শিক্ষাব‌র্ষের তাহা‌মিদ জাহান না‌ভিদ ও ভূতত্ত্ব ও খ‌নি‌বিদ্যা বিভা‌গের ২০১৭-১৮ শিক্ষাব‌র্ষের আল সামাদ শান্ত‌।

‌তি‌নি জানান, মঙ্গলবার বিকা‌লে ও দিবাগত রা‌তে পৃথক দু‌টি অপ্রী‌তিকর ঘটনা ঘ‌টে। এসব ঘটনা নিয়ে বি‌ভিন্ন গনমাধ্য‌মে সংবাদ ও প্রকাশিত হ‌য়ে‌ছে। পাশাপা‌শি উভয় ঘটনায় প্রাথ‌মিক তদ‌ন্তে দুই জ‌নের জ‌ড়িত থাকার বিষয়‌টি সাম‌নে আসে।

এছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলমকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শের-ই বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক সাদমান শাকিব বিন রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদার।

এর আগে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় শের-ই বাংলা হলের পক্ষ থেকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী একটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৩ সদস্যের ওই কমিটির ৫ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা।

ওই কমিটির আহ্বায়ক শের-ই বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক ইয়াসিফ আহমদ ফয়সাল, একই হলের আবাসিক শিক্ষক সদস্য মো. সোহেল রানা এবং আবাসিক শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, “আমাকে রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়েছ। হলে হামলার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না ও,আমি ওই হলের ছাত্র ও না।”

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” নাভিদ ও তার সহযোগীরা ঘটনার দিন নাভিদের বাবার সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে হামলা করে। “তখন আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না, আর যারা হামলার স্বীকার তারা আমার ছোটভাই, আমার কাছের, তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই ও আমি যে নির্দোষ তা প্রমানীত হবে”

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টার দিকে শের-ই বাংলা হলের ৪০১৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র মো. শাহজালালকে তার কক্ষ থেকে ডেকে ১০০১ নম্বর কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন শাহজালাল। এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারী প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

একই দিন বিকেলে ৪ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তারা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই পৃথক দুই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২৬ ফেব্রুয়ারী ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে। এর ধারাবাহিকতায় আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরী বৈঠক করে দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে।

বার্তা বাজার / ডব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর