ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে বাঙালির শোক আর অহংকারের মিনার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে হাজার হাজার মানুষ ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার জন্য শহীদ মিনারে ছুটে আসেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে জনস্রোতও।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সর্ব সাধারণের জন্য। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন ছাড়াও ছাত্র, যুব, নারী, শ্রমিক, শিশু-কিশোর সংগঠনগুলো এবং শত শত মানুষ সারিবদ্ধভাবে একে একে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের প্রতি।
এসময়, মাইকে অমর একুশের করুণ সুর বাজানো হয়। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালির আত্মদানের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান শহীদ দিবস। বাঙালির অহংকারের দিন। জাগরণের দিন। তবে এই অর্জন এখন শুধু বাংলাদেশেরই নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয় সারা বিশ্বে।
১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশে সাধারণ ছুটির দিন। ভাষা শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি