শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকারী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন সাত বছর বয়সি মুসলেমা খাতুন রিমা নামে এক শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকারী। পুলিশ জানান সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হরিসপুরে একটি আম বাগানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় তরিকুল। এসময় আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত তরিকুল ইসলাম চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়াইপাড়ার নোমান আলীর ছেলে।

সাত বছরের শিশু মুসলেমা খাতুন রিমা ধর্ষণ ও হত্যার সন্দেহভাজন ছিল তরিকুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল-ই-খুদা পলাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি তরিকুল সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের বকচর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানো চেষ্টা করছিল।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর সে শিশু রিমাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে সে আমাদের কাছে জানায়। তার অন্য সহযোগীদের ধরতে তরিকুলকে নিয়ে হরিসপুরের একটি আম বাগানে গেলে, সেখানে পৌঁছামাত্রই তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।

পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় তরিকুল। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত গত সোমবার নিখোঁজ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের মানিক হাজির টোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একটি বাঁশবাগানের একটি গর্ত থেকে পুলিশ মুসলেমা খাতুন রিমা নামে সাত বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল রিমা।

এ ঘটনায় নিহত রিমার বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে বুধবার তরিকুলসহ পাঁচ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পলাতক তরিকুলের বাড়ি থেকে নিহত রিমার পরনের প্যান্ট উদ্ধার করে পুলিশ।

বার্তাবাজার/কেএ