জামিনে বের হয়েছে ১২’শ ভয়ংকর সন্ত্রাসী

চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ জামিনের সংখ্যা বেড়েছে। মাত্র ১৪ দিনের মাঝেই চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বের হয়েছেন কমপক্ষে ১২’শ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।

যাদের মধ্যে শতাধিকই চট্টগ্রাম নগরীর ত্রাস। সিটি নির্বাচনের আগে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনে মুক্ত হওয়াকে ‘বিপদ’ হিসেবে দেখছেন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

তবে,সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান জানান, ‘ আদালতের উপর নির্ভর করে জামিনের বিষয়টা । পুলিশের এখানে করার কিছু নেই। তবে কোনো অপরাধী জামিনে মুক্ত হয়ে যাতে ফের অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়াতে না পারেন সে ব্যাপারে সতর্ক আমরা।’

“কোনো অপরাধীর জামিন আদেশ এলে আমরা কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেই। যদি জামিন আদেশ আসা আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকে তাহলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে তা জানানো হয়।’ বলে জানান চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার কামাল হোসেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এ মাসের শুরুতে হঠাৎ করে চট্টগ্রামে জামিনের হিড়িক পড়ে। আগে যেখানে সপ্তাহে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন আসামির জামিন আদেশ কারাগারে যেত, সেখানে বর্তমানে যাচ্ছে ১০০ থেকে ১২০টি । গত ১৪ দিনে কমপক্ষে সহস্রাধিক আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন দুর্ধর্ষ অপরাধী। এদের মধ্যে রয়েছেন ওয়াহিদ ইমন খান ওরফে সারাত, শাহনামা ওরফে বাচা মিয়া, সবুজ গাজী, শহীদুল আলম আরজু, মো. ইমরানের মত ত্রাসের রাজারা। আর এ মাসের শুরুতে জামিনে মুক্ত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দিদারুল আলম মাসুম, সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এহতেশামুল হক ভোলাসহ আরও কয়েকজন দুর্ধর্ষ অপরাধী।

‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হলে তা আসন্ন নির্বাচনে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তারা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

একইভাবে আরও অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীও দাবী জানান যাতে ঐসব সন্ত্রাসীদের আর জামিনে ঢালাওভাবে মুক্তি না দেয়া হয়।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর