টেবিলের উপর উঠে শিক্ষার্থীর বুকে ও পেটে শিক্ষকের লাথি
বাংলাদেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোন ধরণের শাস্তি নিষিদ্ধ থাকার পরও শ্রেণি কক্ষেই এক শিক্ষার্থীকে লাথি মারলেন শিক্ষক। লাথি মারার ফলে ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। যার ফলে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শ্রেণি কক্ষের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
গত বুধবার ঘটনাটি ঘটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত শিক্ষার্থী দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শাহিনা আক্তার। সে মুসলিম পাড়া এলাকার নোয়াব আলী সর্দারের মেয়ে।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে চতুর্থ বিষয় চলাকালীন ১০ম শ্রেণিতে পড়নোর সময় বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোন কারণ ছাড়াই টেবিলের উপর উঠে শাহিনা আকতারের বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এসময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরে ফেলবো।
তাৎক্ষণিকভাবে তার সহপাঠি শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে এবং ওই শিক্ষকের হাত থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তাইন্দং বাজারে একটি ডাক্তারের দোকানে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া।
ঘটনার সময় তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আরিফুর রহমান তদন্ত করছিলেন বলে জানা গেছে।
তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদনের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বার্তাবাজার/কেএ