চীনে অনলাইন স্টোর কেন বন্ধ করছে অ্যামাজন?

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বিক্রয় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন চীনে নিজেদের অনলাইন স্টোর বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছেG

চীনে নিজেদের কার্যক্রম কমিয়ে আনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের এসব অনলাইন স্টোর থেকে ক্রেতারা স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারেন।

অ্যামাজন জানিয়েছে, আগামী জুলাই থেকে তারা আর চীনে অভ্যন্তরীণ বিক্রয় সেবা দেবে না। তবে এরপরও চীনের ক্রেতারা অ্যামাজনের বৈশ্বিক বা গ্লোবাল স্টোর থেকে পছন্দমতো পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। এছাড়া চীনে অ্যামাজনের ক্লাউড ব্যবসাও আগের মতোই চলবে বলে জানানো হয়েছে।

চীনের স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী আলিবাবা এবং জেডি.কম’র সঙ্গে কঠোর প্রতিযোগিতার মুখে দেশটি থেকে অ্যামাজন স্থানীয় খুচরা ব্যবসা গুটিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অবশ্য অ্যামাজন জানিয়েছে, বিদেশি পণ্য বিক্রি এবং ক্লাউড সেবা তুলনামূলকভাবে বেশি লাভজনক হওয়ায় সেগুলোর উপর গুরুত্ব দিতেই মূলত চীনে অভ্যন্তরীণ বিক্রয় বাজার কমিয়ে আনছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে অ্যামাজন এর জন্য সবচেয়ে লাভজনক হচ্ছে এর ক্লাউড কম্পিউটিং ডিভিশন, যা সার্ভার সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে আছে।

বিবিসি জানায় আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অ্যামাজনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে এবং ক্রেতাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সেজন্য আমরা বিক্রেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

২০০৪ সালে অ্যামাজন চীনের একটি স্থানীয় বই, সঙ্গীত এবং ভিডিওর খুচরা অনলাইন বিক্রেতা ওয়েবসাইট জোয়ো.কম’কে কিনে নেয় সাড়ে সাত কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে। ২০০৭ সালে এর নাম বদলে রাখা হয় অ্যামাজন.সিএন।

আগামী ১৮ জুলাইয়ের পর এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ক্রেতারা শুধু গ্লোবাল স্টোরের বাছাই করা পণ্য দেখতে পাবেন, স্থানীয় পণ্য নয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর