শেরপুর পৌরসভার রাস্তার বেহাল অবস্থা, চরম দুর্ভোগ এলাকাসীর

বগুড়ার শেরপুরে পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের নন্দীগ্রাম টু শেরপুরের টাউনকলোনী এলাকায় রাস্তার বেহাল অবস্থা। বৃষ্টি বাদল ছাড়াই রাস্তার উপর জমে থাকে পানি। এমন চিত্রই ভেসে উঠেছে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে নন্দীগ্রামগামী টাউনকলোনী এলকার রাস্তাটির।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শেরপুর শহর থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় যাওয়ার প্রধান রাস্তা পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের টাউন কলোনী এলাকা। আর এই প্রবেশ পথেই আব্দুস সামাদের বাড়ির সামনে ও নওশের আলীর বাড়ীর সামনে রাস্তার মাঝে এই ২টি কালভার্ট ভেঙ্গে চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী। ড্রেন ভেঙ্গে যাওয়ায় বাসাবাড়ীতে ড্রেনের পানি প্রবেশ করছে। বৃষ্টি না হলেও দেখা দিচ্ছে বন্যার মত পরিস্থিতি। এই রাস্তায় জমে থাকা পানির পঁচা-দূূর্গন্ধের মধ্যই পথচারীরা চলাচল করছে।

রাস্তাটির এমন বেহাল দশায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রী ও মসজিদে যাতয়াতে মুসুল্লীদের অনেক ভোগান্তি পহাতে হচ্ছে। এই রাস্তার সংলগ্ন টাউন কলোনী শাহী জামে মসজিদ ও ৫০ গজ দুরে টাউন কলোনী এ.জে উচ্চ বিদ্যালয়। রাস্তার ভগ্নদশার কারনে ব্যাবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে না পারায় অনেক ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে।

টাউন কলোনীর বাসিন্ধা আরিফুল ইসলাম জীবন, বিউটি বেগম, ফেরদৌসী বেগম জানান, রাস্তার মাঝের কালভার্ট ভেঙ্গে ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির মৌসুম ছাড়াই রাস্তাটির উপর সব সময় জমে থাকে ময়লা আবর্জনা সহ দুর্গন্ধযুক্ত পানি। এ পানি শুকিয়ে গেলে আবার তৈরী হয় ধুলাবালী। আর এই বালিগুলো ঘর বাড়ীতে প্রবেশ করে। রাস্তায় জমে থাকা পঁচা পানির দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছি এবং আক্রান্ত হচ্ছি বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে। একদিকে রাস্তার উপর পঁচা পানি ধুলা বালি অন্য দিকে রাস্তার উপর (নন্দীগ্রাম যাওয়ার ষ্ট্যান্ডে) পার্কিং করা হয় সিএনজি, অটো রিক্সা, লেগুনাসহ সকল যানবাহন। দুর্বিসহ হয়ে পরেছে আমাদের জীবন যাপন।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার এবিএম জাকারিয়া মাসুদ জানান, প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেও তেমন সুবিধা দিতে পারছিনা। রাস্তাটির বিষয়ে মেয়রকে বারবার অবগত করার পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ড্রেনের কাজ হওয়ায় সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অতিদ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর