স্ত্রীকে নিজ হাতে হত্যার পর স্বামীর বিষপান

মাস ছয়েক আগে প্রেম করেই বিয়ে করেছিল তারা। দুজনে শপথ করেছিল ‘বাঁচলে দুজনেই বাঁচব, মরলে একসঙ্গে মরব’। কিন্তু সে কথার শেষ রক্ষা হলো না।
স্ত্রী শাহিদা খাতুন (১৯) খুন হয়েছে স্বামী আবুল কাসেমের হাতে। আর স্বামী বিষ খেয়েও বেঁচে গেছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোদণ্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্বামী আবুল কাসেম মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে গেছে কাসেমের ভাই আবু সাঈদ।

আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, পরস্পরকে ভালোবেসে মাত্র ছয় মাস আগে তারা বিয়ে করেছিলেন। তারা শপথ করে ‘ বাঁচলে দুজনে, মরলেও দুজনে’। স্বামী আবুল কাসেমের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে কলহ চলছিল। বুধবার রাতে কলহের জেরে আবেগতাড়িত হয়ে স্ত্রী শাহিদা খাতুন তাকে ছেড়ে চলে যেতে চায়। সে আর কাসেমের ঘর করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। কাসেম তার পায়ে পড়ে তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে ঠেলাঠেলির পর কাসেমের মাথায় খুন চেপে যায়। সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শাহিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর আবুল কাসেম মোল্লা ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। পাশের ঘরের লোকজন জানতে পেরে তাকে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেয়। ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শাহিদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে স্বামী কাসেমকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে আশাশুনি থানায়। তিনি জানান, কাসেম তার স্ত্রীকে কেন এবং কীভাবে হত্যা করেছে তা জানিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর