প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করার ঘটনায় সোমবার শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফটকের তালাও ভেঙ্গে ফেলে।

তালাবদ্ধ করার ঘটনা প্রসঙ্গে শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মুরারী মোহন দাস বলেন, অধ্যক্ষ ফোনে নির্দেশ দেয়ায় প্রধান ফটকে তালা মারা হয়েছিল। তবে পশ্চিম পাশের পকেট গেট খোলা ছিল।

ঈশ^রদী উপজেলা ছত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি প্রধান ফটকে তালা মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ভুমিদস্যুদের মদদে অসৎ উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ গেট তালাবদ্ধ করেছেন। এসময় তিনি অধ্যক্ষ ও ৪ জন শিক্ষকের অপসারণের দাবী জানান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, কর্তৃপক্ষ কি উদ্দেশ্যে তালা মেরেছে তা আমরা জানিনা। তবে কলেজের মূল রাস্তা প্রয়োজন।

কলেজের সামনের ১.৩৩ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি নিয়ে কলেজের সাথে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চলছে। এই মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মামলার বাদী মহিউদ্দিন ফোনে জানান, আমরা সকল ক্ষেত্রেই আদালতের রায় পেয়েছি। এরআগে হাইকোর্ট ওই জমি মন্ত্রণালয় হতে অধিগ্রহনের জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে কার্যক্রম করার আদেশ দেন। কিন্তু অধ্যক্ষ অধিগ্রহনের কার্যক্রম না করে আপীল করেন। এজন্য উচ্চ আদালত আজ সোমবার অধ্যক্ষকে আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছে।

এবিষয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রাতে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য রাতে প্রধান ফটকে তালা দেয়ার নির্দেশনা ছিল।

হাইকোর্টে তলবের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলা প্রসংগে কোন বলতে চাই না। মন্ত্রণালযের নির্দেশনা মোতাবেকই কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, জমি-জমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার বিষয়ে আমরা শিক্ষক মানুষ কিছুই বুঝি না। তাই আমি ও উপাধ্যক্ষ বদলীর জন্য ইতোমধ্যেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আাবেদন জানিয়েছি।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর