কিডনি ব্যবসায়ী নাজিম গ্রেফতার

ঋণের দায়ে নিজের একটা কিডনি বিক্রি করেছিলেন নাজিম উদ্দিন। এরপর বিভিন্ন ঋণগ্রস্থ মানুষকে প্রভাবিত করে টাকার লোভ দেখিয়ে বিক্রি করিয়েছেন আরও ১৬টা কিডনি! অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হলো এই ধূর্ত ব্যক্তি।

নেত্রকোনার পুর্বধলা উপজেলার শানখলা গ্রামের ছেলে নাজিম উদ্দিন। তার বাবার নাম মৃত উমেদ আলী।

জানা যায় অভাবে পরে নিজের একটা কিডনি বিজ্রু করে দেয় নাজিম উদ্দিন। এরপর কিডনির ক্রেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। শুরু করেন গ্রামের অভাবী মানুষের সাথে নিয়মিত আলাপচারিতা। একসময় অভাবী নিরীহ মানুষগুলোকে নিজের জালে আটকে বাধ্য করেন কিডনি বিক্রি করতে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৬ জনকে তার শিকারে পরিনত করেন। প্রত্যকের কিডনি বিক্রির টাকা থেকে মোটা অংকের কমিশনও নিতো নাজিম। এভাবে ভালই চলছিল তার ব্যবাসা। তার স্ত্রী ও বোনও তারা সাথে এই ব্যবসায় সহায়তা করতো।

কিন্তু কথায় আছে চোরের বারবার গৃহস্থের একবার। ঠিক তেমনি নাজিমের এই অপকর্ম পুলিশের নজর এড়ায় নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কিডনি বিক্রি করতে রাজি হওয়া একজঙ্কে নিয়ে নাজিম প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত গিয়ে অপারেশন করিয়ে কিডনী বিক্রি করানোর।

ত্যথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাগড়া বাজার এলাকায় ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়ক থেকে নাজিম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।

প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে নাজিম জানান, শানখশা গ্রামের সুজন মিয়ার স্ত্রী মেহেরা খাতুন (৫৫) ও ছেলে নূর আলম, কুদরত আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম, আসন আলীর ছেলে আলাল উদ্দিন, উমর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ, আমির উদ্দিনের ছেলে এয়ারখান, আবুল কাশেমের স্ত্রী রুমা আক্তার; হবিবপুর গ্রামের তোতা ফকিরের ছেলে রমজান আলী, লাল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন, একই গ্রামের ও মহেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে খোকন মিয়া। এবং বর্তমানে কিডনি বিক্রি করতে ভারতে আছেন শানখলা গ্রামের সবুজ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা খাতুন।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ নুর ও আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজিম উদ্দিন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর