মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ডিনসহ সকল নির্বাচনের দাবিতে জাবি শিক্ষকদের প্রতীকী অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন, সিন্ডিকেট, অর্থ-কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের একাংশ, বিএনপি ও বামপন্থী শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচী পালন করেন।

সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘উপাচার্য ও তার আশপাশের মানুষের কারণে আজ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৬ মের মধ্যে সকল ধরণের নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। কিন্তু এখন উপাচার্যের অসুস্থতার কথা বলে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। গত ৬ মার্চ থেকে তিনি অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছেন, তাহলে ছুটি নেওয়ার আগে কেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন না? বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে আছে নির্বাচন দিতে হবে। সুতরাং উপাচার্য নির্বাচন দিতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা প্রয়োজন। আর এই জন্য আমরা সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ নেমেছি। আমরা কাউকে রক্ষা বা পদত্যাগের জন্য নামিনি। আমরা নেমেছি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশকে রক্ষা করতে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করতে।’

এছাড়া দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ চার দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে আগামী ১৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং গণসংযোগ, ২১ মার্চ সারাদিন কর্মবিরতি, ২৪ মার্চ দুপুর একটায় কালো পতাকা ধারণ এবং ২৭ মার্চ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের সাধারণ সভার কথা ঘোষণা করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা,অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মো. শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক কৌশিক সাহা, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ৬ মে’র মধ্যে সকল নির্বাচন আয়োজন করার ঘোষণা দেন। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ উপাচার্য তফসিল ঘোষণায় গড়িমসি করছেন এমন দাবি করে আন্দোলনে নেমেছেন। তবে গত ১৬ মার্চ উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে প্রচারিত এক প্রচারপত্রে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা দাবি করেন উপাচার্যের অসুস্থতাকে নিয়ে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের বক্তব্য ‘অত্যন্ত অমানবিক, অযৈাক্তিক ও নিন্দনীয়’। এছাড়া তারা মনে করেন মেয়াদোত্তীর্ণ সকল নির্বাচনের ব্যাপারে উপাচার্য আন্তরিক। তিনি খুব শীঘ্রই সকল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর