দল ত্যাগ না করার অনুরোধ তামিমের

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল ঘোষণার আগে যে জল্পনা-কল্পনা ছিল সেটির অবসান হয়েছে। তবে এখন শুরু হয়েছে ঘোষিত দল নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেন তাসকিন আহমেদ ও ইমরুল কায়েসকে বাদ দেয়া হল সেটি নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি প্রশ্ন আছে ফর্মে না থাকা সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে দলে নেয়ার বিষয়েও। তবে দেশের হয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়া তামিম ইকবাল মনে করেন যে দল ঘোষণা হয়েছে তাদের পাশে থাকা উচিত সবার। এতে করে যারা দলে আছে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। দল ঘোষণার পর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল তার বিশ্বকাপ ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। তার মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ স্কোয়াড আপনি কীভাবে দেখছেন?
তামিম: আমার কাছে মনে হয় যেই স্কোয়াডই দেয়া হোক না কেন, যেই প্লেয়ারকেই নেয়া হোক না কেন, সেখানে কিছু না কিছু ‘যদি-কিন্তু’ থাকবে।
কিছু পছন্দ অপছন্দ থাকবে, এটাই নিয়ম। স্কোয়াড রেডি করা খুব সহজ জিনিস না। অবশ্যই এখানে কিছু প্লেয়ার আছে যারা খুব ভালো পারফর্ম করেছে কিন্তু সুযোগ হয়নি। আবার এমনো প্লেয়ার আছে যারা খুব ভালো করছে না এবং তাদের সুযোগও হয়েছে। আমার মনে হয় এখন কে থাকা উচিত ছিল বা কে থাকলে ভালো হতো, এই আলোচনা না করে যে ১৫ জনকে সিলেক্ট করা হয়েছে তাদের পুরোপুরি সমর্থন করা দরকার। দিন শেষে এটা বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। অমুকের জায়গায় অমুক থাকলে ভালো হতো, এমন কিছু করলে হবে কি, যারা সুযোগ পেয়েছে তারা মন ছোট করবে। আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি বিশ্বকাপের জন্য। এখন মন ছোট না করে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা উচিত।

প্রশ্ন: বেশ কয়েকজন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে। তাদের নিয়ে আপনার বার্তা কি?
তামিম: অবশ্যই বিশ্বকাপ এমন একটা মঞ্চ, সবাই জানি যে ক্রিকেট বিশ্বে এটা সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এই একটা টুর্নামেন্ট যেখানে তারকারা জন্ম নেয়। বিশ্বকাপে ভালো করলে আপনি এক রাতেই হয়তো সুপার স্টার বনে যাবেন। এটা সব তরুণ ক্রিকেটারের জন্যই বড় সুযোগ, তারা কতোটা ভালো সেটা দেখানোর জন্য। অবশ্যই আমাদের দলে এমন বেশ কিছু প্লেয়ার আছে যারা তাদের প্রতিভা দেখাবে।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ড আপনার পছন্দের জায়গা তা নিয়ে কি বলবেন?
তামিম: আমি কোনো লক্ষ্য স্থির করতে পছন্দ করি না। আমার যেই প্রক্রিয়া আছে, সেটা আমি মেনে চলার চেষ্টা করি। দল আমার কাছে যে জিনিসটা দাবি করবে, আমি যেন সেই জিনিসটা দিতে পারি। এটাই আমার এক নম্বর লক্ষ্য। আমি জানি যে বিশ্বকাপের আগে কিছুদিন সময় আছে, এছাড়াও আয়ারল্যান্ড সিরিজ সামনে। সবার শক্তির জায়গা, দুর্বলতার জায়গা থাকে। আমি চেষ্টা করবো আমার যেখানে দুর্বলতা আছে, সেই জায়গায় উন্নতি করতে।

প্রশ্ন: দলের পক্ষে এই বিশ্বকাপে কতটা ভালো করা সম্ভব?
তামিম: কতদূর যাওয়া সম্ভব এটা আমি বলতে পছন্দ করি না। কারণ ১০টা দল বিশ্বকাপ খেলছে। কোনো দলই কেবল অংশগ্রহণ করার জন্য খেলছে না। সবাই যাচ্ছে জেতার জন্য। আমরাও যাচ্ছি জেতার জন্য। এটাই মাথায় রেখে যে আমরা জিততে চাই। আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাসটা নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’

প্রশ্ন: দলের প্রস্তুতি কতটা?
তামিম: মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় হবে কি, আপনি ৫০ দিন অনুশীলন করেছেন, কিন্তু আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত না, তাহলে ওই ৫০ দিন আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করবে না। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা ইংল্যান্ড যাচ্ছি অনেক আগেই। একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছি আয়ারল্যান্ডে। যদিও আয়ারল্যান্ডের উইকেট ও ইংল্যান্ডের উইকেটে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই কন্ডিশনে থাকবো, আমি নিশ্চিত আমরা সবটা আদায় করে নিতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার কাছে কোন দল ফেভারিট?
তামিম: অবশ্যই ভারত ফেভারিট। ইংল্যান্ডও ফেভারিট। এখানে অনেক টিমই আছে তাদের আপনি সহজে নিতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়া আছে, পাকিস্তান আছে। আরও অনেক দল আছে। এটা নির্ভর করে ওই টুর্নামেন্টে দল হিসেবে কে ফর্মে থাকে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর