বগুড়ার শেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং করান নৈশপ্রহরী

অনিয়ম ও অবহেলায় চলছে বগুড়ার শেরপুর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ভেস্তে যেতে বসেছে প্রাথমিক শিক্ষার মান। শেরপুরে শিক্ষকদের পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষেই দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী মো. আসাদ কোচিং করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের টাকাধুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী মো. আসাদ স্কুলের শ্রেণী কক্ষে নিষিদ্ধ গাইড বই দিয়ে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করাচ্ছেন । এসময় সংবাদকর্মীদের বলেন, ম্যাডামদের অনুরোধে আমি কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে লেখাপড়া করাই।

একই চিত্র দেখা গেছে সুঘাট ইউনিয়নের ক্ষিদিরহাসড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। সেখানে কোচিং করান বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী সুমন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান জানান, এটা যদি আইনে নিষিদ্ধ হয় তাহলে সে আর পড়াবে না। শুধু কোচিং বাণিজ্যই নয় কিছু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাশও নেন দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরীরা। উপজেলার বেলঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী ক্লাশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া কিছু কিছু বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরীরা সঠিক দায়িত্ব পালন করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

তারা ছাড়াও কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত শ্রেণী কক্ষে স্কুল সময়ের আগে ও পড়ে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর এসবের পিছনে রয়েছে উপজেলার কতিপয় অসাধু শিক্ষা কর্মকর্তারা। তারাই বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখেও দেখেন না। তবে প্রাথমিক শিক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি প্রয়োজন বলে সচেতনমহল মনে করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জানান, বিদ্যালয়ে কোচিং করানো নৈশপ্রহরীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর