‘বিয়ে করা ও পুরুষ ই যার নেশা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের দুঃখ প্রকাশ

‘বিয়ে করা ও পুরুষ ই যার নেশা’ শিরোনামে গত ২০১৭ সালে বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা মুহুর্তের মধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে সাম্মি আক্তার সীমা বাদী হয়ে রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা অনুসন্ধান করতে গিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো ধরণের সত্যতা খুঁজে পান নি।ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। কিন্তু ভুলবশন সেই প্রতিবেদনটি পুনরায় বিনোদন বাজার ডটকম সহ কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ‘প্রবাসীর নিউজ ডটকম’ নামক একটি অনলাইন পত্রিকা থেকে সংগ্রহীত ছিল। যা বার্তা বাজার ডটকমের প্রায় অর্ধ কোটি সদস্যদের গ্রুপে শেয়ার করায় বাদী সাম্মি আক্তার সীমা সম্মানহানীর শিকার হন।

এই সংবাদটি প্রকাশ করায় বিনোদন বাজার ডটকম ও বার্তা বাজার ডটকমের কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করছে এবং জানাচ্ছে যে সংবাদটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ছিল। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে সাম্মি আক্তার সীমা এ ধরণের কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত নয়।

সাইবার অপরাধ দমনে ডিএমপির বিশেষ টীম ‘সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশন- কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট’ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরণের কোন অপরাধ কেউ করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন এবং উক্ত প্রতিবেদনটি অন্যকোন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে থাকলে তা মুছে ফেলার আহ্বাবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব ধারাকে সামনে রেখে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ বা অসত্য ক্ষতিকর প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন সিটিটিসির সিনিয়র কর্মকর্তারা।

চলুন জেনে নেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উল্লেখযোগ্য ধারাসমূহ –

আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, মানহানিকর কোনও তথ্য দিলে তিন বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনও ধরনের তথ্য উপাত্ত, যেকোনও ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি দিয়ে গোপনে রেকর্ড করে, তাহলে সেটা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে এবং এ অপরাধে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে বলা হযেছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। বেআইনিভাবে অন্য সাইটে প্রবেশ করার পর যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে।। আবার কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ডিভাইসে প্রবেশ করে তাহলে এক বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডর বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি কারও ডিভাইসে প্রবেশে সহায়তা করে, তাহলে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যদি জনগণকে ভয়ভীতি দেখায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, তাহলে ১৪ বছরের জেল ও এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

২৫ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ভয়ভীতি দেখায়, তাহলে তাকে তিন বছরের জেল ও তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

৩০ ধারায় বলা হয়েছে, না জানিয়ে কেউ যদি কোনও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যাংক-বীমায় ই-ট্রানজেকশন করে, তাহলে পাঁচ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

৩১ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে সাত বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর