রোয়াইল ইউনিয়নে ‘১৯-২০ অর্থবছরে ইজিপিপি প্রকল্পের ১২ লক্ষ টাকার কাজ সম্পন্ন

ঢাকার ধামরাইয়ের রোয়াইল ইউনিয়নে ২০১৯-২০২০ ইং অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) ১ম পর্যায়ের ১২ লক্ষ টাকার রাস্তার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে বিষয়টি জানা যায়।

এর আগে, তথ্য অধিকার আইনে ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। প্রাপ্ত তথ্যের সরেজমিন যাচাইকালে এই প্রকল্পগুলির কাজ সম্পন্নের বিষয়ে জানা যায়।

এই অর্থবছরে মোট ৩টি প্রকল্পে সরকারী বরাদ্দ আসে। প্রকল্পগুলি হলো-
আটিমাইঠান পাগলার বাড়ীর নিকট পাকা রাস্তা হতে কৃষ্ণনগর হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ। এই কাজে সরকারী বরাদ্দ আসে ৪ লক্ষ টাকা। ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আক্কাস আলীর তত্বাবধায়নে মোট ৫০ জন শ্রমিক দৈনিক ২’শত টাকা মজুরিতে মোট ৪০ দিনে প্রকল্পের কাজ শেষ করে।

ছবি: বার্তা বাজার

কিসমত ভবানীপুর সাঈদ ফকিরের বাড়ীর নিকট পাকা রাস্তা হতে খড়ারচর আরশাদের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ কাজটি ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আইয়ুবুর রহমান লায়েক এর তত্বাবধায়নে মোট ৫০ জন শ্রমিক দৈনিক ২’শত টাকা মজুরিতে মোট ৪০ দিনে কাজ শেষ করে। এ প্রকল্পেও সরকারী বরাদ্দ আসে ৪ লক্ষ টাকা।

ছবি: বার্তা বাজার

পশ্চিম ভবানীপুর মসজিদ হতে পশ্চিম ভানীপুর কাইমদ্দিন এর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ কাজে সরকারী বরাদ্দ আসে ৪ লক্ষ টাকা। ৪,৫ ও ৬ (সংরক্ষিত) ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য মোসাঃ মাহফুজা আক্তারের তত্বাবধায়নে মোট ৫০ জন শ্রমিক দৈনিক ২’শত টাকা মজুরিতে মোট ৪০ দিনে প্রকল্পটির কাজ শেষ করে।

ছবি: বার্তা বাজার

তবে এই তিন প্রকল্প স্থানের স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প তিনটির কাজে শ্রমিকদের পাশাপাশি ভেকু (খননযন্ত্র) ব্যবহার করেও কাজ করা হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে রোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম সামসুদ্দিন জানান, সরকার প্রতি শ্রমিকের জন্য প্রতিদিন ২০০ টাকা বরাদ্দ দেয়, এর থেকে ২৫ টাকা ভ্যাট সংক্রান্ত কেটে মাত্র ১৭৫ টাকা প্রতিদিন দেয়া হয় একজন শ্রমিককে। অথচ ৩’শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকার কমে শ্রমিক পাওয়া যায় না। এজন্য শ্রমিকদের পাশাপাশি ভেকু ব্যবহার করেও কাজ করতে হয়। আর এই সমস্যার কথা আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করা যায় এই সমস্যার সমাধানকল্পে সরকারী বরাদ্দ ২’শ টাকার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩’শ টাকা করবে সরকার। তখন আর ভেকু ব্যবহার করতে হবে না।

এব্যাপারটি ধামরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলীকে মুঠোফোনে জানানো হয়। তিনি জানান, প্রকল্পগুলিতে কাজ চলাকালীন পরিদর্শন করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর