গোপীবাগে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির ৫ কর্মী রিমান্ডে

গোপীবাগে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির পাঁচ কর্মীর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, জামিল আহম্মেদ তুহিন, বিল্লাল হোসেন, সোহেল, ফারুক ও আকরাম হোসেন মুন্না। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুলফিকার আলী আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে খোরশেদ মিঞা আলম, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম মিয়াজী প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে এদিন মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করে দিয়েছেন একই আদালত।
এর আগে গত রোববার রাতে রাজধানীর ওয়ারী থানায় বিএনপির ৫০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাকসুদ আহমেদ।

মামলায় বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টার দিকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করেন।

গণসংযোগ শেষ করে ওয়ারী থানাধীন ৪৮/৩/এ আর কে মিশন রোডস্থ রোকন উদ্দিন আহমেদের অস্থায়ী নির্বাচন ক্যাম্পে আসেন। যোহরের নামাজের বিরতিতে নামাজের প্রস্তুতি নেন। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে আসামি শাহ আলমের নেতৃত্বে অপর আসামিরা অজ্ঞাতনামা দুই জন নারীসহ ১০০ থেকে ১২৫ জন অভয় দাস লেনের পশ্চিম দিক থেকে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকে।

সেখানে এসে তাদের কটাক্ষ করে ‘নৌকা ডোবা ধান লাগা’সহ বিভিন্ন ধরনের উস্কানীমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের এ ধরনের শ্লোগান না দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আসামিরা শ্লোগান দেওয়া থেকে বিরত না হয়ে উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোঠা নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করে।

মামলায় আরও জানানো হয়, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থাকা অন্যান্য নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসলে শাহ আলম ওরফে পারভেজ শিকদার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে।

অন্যান্য আসামিরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা আওয়ামী লীগ নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং কার্যালয়ে ভাংচুর করে।

এতে আওয়ামী লীগ কর্মী ইয়াসির আরাফাত রকি মাথায় গুলিবিদ্ধ এবং মোবারক হোসেন সেলিমের ডান হাত গুলিবিদ্ধ হয়। হামলায় কার্যালয়ের কেয়ার টেকার বাবুল মিয়া, মনির হোসেন, সোহবার, আমীর হোসেন কুট্টুর আহত হয়। এ ছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর