বাকৃবিতে আবদুল মান্নানের স্মরণে শোক র‌্যালী

বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি এবং কেআইবির সাবেক মহাসচিব দেশ বরেণ্য কৃষিবিদ মরহুম আবদুল মান্নানের স্মরণে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১ টায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাড থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। মিলনায়তনে শোক সভায় আবদুল মান্নানের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পরে কোরআন থেকে তেলোয়াত করে আবদুল মান্নানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় মান্নানের সংক্ষিপ্ত জীবনীর স্মৃতিচারণ করে ডকুমেন্টারি তুলে ধরেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. এ কে এম জাকির হোসেন।

এসময় বক্তারা বলেন, আবদুল মান্নান ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় এখন অভিভাবক শূণ্যতায় ভুগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি সবসময় সহায়তা করে গেছেন। বাংলার কৃষির উন্নয়নে জন্য তিনি সর্বদা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষকদের পাশে থেকেছেন। আবদুল মান্নান ছিলেন অত্যন্ত সাধারণ একজন মানুষ।

সাধারণ মানুষের সাথে তিনি মিশে থাকতেন। বাকসুর সহ-সভাপতি থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে। পরে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনেও সফলতা অর্জন করেন। তিনি বাকৃবি পরিবারের একজন অবিচ্ছেদ্য সদস্য। তার চলে যাওয়া কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাকৃবি সর্বদা আবদুল মান্নানকে স্মরণে রাখবে। কৃষিবিদদেও জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবেন।

শোক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুল সাত্তার মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামীদুর রহমান, মান্নান সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান ও তার সন্তান সাখাওয়াত হোসেন সজল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষর্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর