টাইগার ব্যাটসম্যানদের স্বার্থপর হতে বললেন নিল ম্যাকেঞ্জি

অল্পতে খুশি হয়ে দায়সারা ব্যাটিং নয়, দলের আর নিজেদের স্বার্থে বাড়াতে হবে রান ক্ষুধা। থাকতে হবে বড় ইনিংস খেলার অভিপ্রায়। ব্যাটসম্যানদের ইচ্ছা শক্তির ঘাটতির কারণে টাইগার ব্যাটিং ইউনিটে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি।

নিরাপত্তা ইস্যু। দুই কোচ ডমিঙ্গো আর গিবসন গেলেও দলের সঙ্গে পাকিস্তান জাননি বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জি। পাকিস্তানে সিরিজ খেলছে টাইগার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড। আর টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে মিরপুরে ক্যাম্প চালাচ্ছেন নিল ম্যাকেঞ্জি। জানালেন সাদমান- মুমিনুলদের স্কিল বাড়াতে কাজ করছেন তিনি। কিভাবে হচ্ছে আপ স্কিল করার কাজ?

বিসিবির ব্যাটিং কনসালট্যান্ট নিল ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে বাউন্স সামলাতে হবে। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলিংয়ের ইতিহাস দারুণ, বিশেষ করে ওদের রিভার্স সুইং। এই মুহূর্তে আমরা বাউন্স আর রিভার্স সুইং সামলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওদের বেশ কিছু বাঁহাতি সিমার আছে। তাই আমরা ক্যাম্পে বাঁহাতি পেসারদের দিয়ে বল করিয়ে অ্যাঙ্গেল ধরিয়ে দিচ্ছি।’

পাকিস্তানে লেজে গোবরে টিম টাইগার্স। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে এখন হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের পারফরমেন্সে হতাশ নিল ম্যাকেঞ্জি।

নিল ম্যাকেঞ্জি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা মোটেও আদর্শ পারফরমেন্স হতে পারে না। টিম কম্বিনেশন ঠিক হচ্ছে না। রাসেল নতুন দায়িত্ব নিয়েছে। ও দেখতে চাচ্ছে কোন কম্বিনেশন কাজে দেয়। যদি স্কোয়াড দেখেন তাহলে দেখবেন সবাই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। চার, পাঁচ ও ছয়ে ব্যাট করতে ভিন্ন রকম স্কিল দরকার পড়ে।’

টাইগার ব্যাটসম্যানদের ইচ্ছা শক্তির অভাব দেখে বিরক্ত ম্যাকেঞ্জি। স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে পারছে না তারা। অথচ প্রায় দুই বছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করছেন সাবেক প্রোটিয়া ওপেনার।

ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘মিডল অর্ডারে দলে অভিজ্ঞ কেউ নেই। ব্যাটসম্যানদের ইন্টেন্ট না দেখতে পেরে আমি হতাশ হয়েছি। গত দুই বছর ধরে আমরা স্ট্রাইক রোটেশন নিয়ে কাজ করেছি। কিভাবে বোলারদের প্রেশারে রাখতে হয়। অথচ, গত দুই টি-টোয়েন্টিতে আমি কোনো ইন্টেন্ট দেখতে পাইনি।’

বাংলাদেশে ট্যালেন্টেড ক্রিকেটারের অভাব নাই। তাদের কাছ থেকে ধারাবাহিক রান ক্ষুধা আশা করছেন ম্যাকেঞ্জি। অল্পতে সন্তুষ্ট হয়ে দায়সারা ব্যাটিংয়ে হচ্ছে সর্বনাশ।

এ বিষয়ে সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান বলেন, ‘নিজের আর দলের ভালোর জন্য প্রয়োজনে সার্থপর হতে হবে। যদি আমি ৮০ করি, সেটাকে ১০০, ১৪০, ২০০ তে পরিণত করার ক্ষুধা থাকতে হবে। অনেকেই আছে যারা পরবর্তী ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পেলেই খুশি। ৪০ বা ৬০ রান করেই খুশি হয়ে যায়। এটা ভুল মানসিকতা। আমরা উন্নতি করছি কিন্তু গতিটা হতাশাজনক।’

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর