নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী সুমা আক্তার (২২)। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের কাঠুরে মরম আলীর মেয়ে।
গত শুক্রবার সৌদি আরব থেকে ইমো’তে কল করেন সুমা আক্তার। এ সময় তিনি তার পরিবারের কাছে সৌদি আরবে নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা জানান।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমা আক্তার বলেন, ‘আমি অনেক কষ্টে আছি। আমারে বাচাঁও। আমারে উদ্ধার কর। বাড়ির ব্যাটার (পুরুষ) স্বভাব ভালা না। আমার উপর অত্যাচার করে। এক মাস ধইরা শরীরে জ্বর, দাঁতে ব্যথা। ডাক্তারের কাছে লইয়া যায় না। সৌদির রিয়াদ আছি। আমি আর কিছু জানিনা। আমি বাংলাদেশের মাটিতে আইতাম চাই।’
শুক্রবার পরিবারের সঙ্গে সুমার কথা হওয়ার পর আর যোগাযোগ নেই। গত নভেম্বরে সৌদি আরবে যাওয়া সুমার সঙ্গে মাত্র দুই বার পরিবারের কথা হয়। সুমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সুমার বাবা-মা।
সুমার বাবা মরম আলী কালেঙ্গা বনে লাকড়ি সংগ্রহ করে বিক্রি করে সংসার চালান। তার চার মেয়ে ও দুই ছেলে। ছেলে দুটি ছোট। চার মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি সুমাকে সৌদি আরব পাঠান।
সুমার পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্র জানায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের যাত্রাগাঁও গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে কবির মিয়া (৪০) তার রিক্রুটিং এজেন্সি এ.এ ওভারসিস (লাইসেন্স নং আর এল-০৮৫১) লিমিটেডের মাধ্যমে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সুমাকে সৌদি আরব পাঠান।
সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকেই পরিবারে সঙ্গে সুমা আক্তারের যোগাযোগ না থাকায়, মাত্র একবার ফোন করায় গত ১২ জানুয়ারী চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেন মরম আলী। এরপর আরেকবার ফোন করে দেশে ফেরার আকুতি জানান সুমা।
এ ব্যাপারে আজ রোববার বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ভারতে ট্রেনিংয়ে আছেন বলে জানান ইউএনও অফিসের নাজির ।
বার্তাবাজার/কেএ