সীমান্তে হত্যা: ঢাবি ক্যাম্পাসে গায়েবানা জানাজা

ভারত সিমান্তে দেশটির সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শনিবার এক গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের নাগরিকবৃন্দ ব্যানারে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ জানাজায় অংশ নেন। ঢাবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন জানাজা পরিচালনা করেন।

‘বাংলাদেশের নাগরিকগণ’র ব্যানারে জানাজা কর্মসূচির পূর্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে তিন বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এ সময় বক্তারা স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ কর্তৃক খুনের প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি তারা সীমান্তে খুনের পেছনে দেশের সরকারের অবহেলাকে দায়ী করেন।

এসময় এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খন্দকার মুহাম্মদ আবদুর রাকিব বলেন, ২০০১ সাল থেকে সীমান্তে ১ হাজার ১৮৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ১১৮ জন আহত এবং ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিখোঁজ হয়েছেন। বেশ কয়েকজন নারীকে ধর্ষণও করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বিচারের দাবি জানান তিনি।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ৫ লক্ষাধিক মানুষ বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ ভারতীয়রা এদেশে চাকরি করে দেশ থেকে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় ভারত আমাদের মেরুদণ্ডহীন সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি করেছে। সেসব চুক্তিতে ভারত ষোলআনা সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের সামনে মুলো ঝুলিয়ে দিয়েছে।

প্রাণরসায়ন এবং আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ‘বিজিবি কখনো কখনো দাবি করে যে হতাহতরা মাদক পাচার ও চোরাচালানে জড়িত। তাদের এ ঘটনায় সাফাই গাইতে দেখা যায়। আর সরকারও দেশের ভেতরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ন্যায়সঙ্গত বলার চেষ্টা করছে।’

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর