মরদেহ আসার কথা বাংলাদেশে কিন্তু গেলো পাকিস্তানে

সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের ভুলে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক রুহুল আমিনের মরদেহ চলে গেছে পাকিস্তানে। তার স্ত্রী ঋণ করে চিকিৎসার বিল আর বিমানের ভাড়া পাঠিয়েও ফেরত পাননি স্বামীর মরদেহ। এখন শোক আর ঋণের বোঝায় অনেকটা বাকরুদ্ধ স্বজনরা।

পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ২০১৭ সালের ২৪শে নভেম্বর সৌদি আরবে পাড়ি জমান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পীরকাশিমপুর গ্রামের রুহুল আমিন। দুই বছরেও ঋণমুক্ত হতে পারেননি তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর সৌদি আরবের কিং ফয়সাল হাসপাতালে মারা যান রুহুল আমিন।

এরপরদিন মরদেহ দেশে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করে পরিবার। হাসপাতালে খরচ হওয়া আড়াইলাখ টাকা এবং বিমান ভাড়ার ১ লাখ ২০ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। কিন্তু সৌদি আরবের কিং ফয়সাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলে মরদেহ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে পাকিস্তানে।

চলতি বছরের ৬ই জানুয়ারি মরদেহ দেশে আসার কথা ছিল। নিহতের ভাই মরদেহ আনতে গেলে কফিনে নাম ঠিকানা সব ঠিক থাকলেও ভিতরে পান অন্যজনের মরদেহ। তখনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ভুলের কথা স্বীকার করে।

সৌদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলের ঘটনাটি দু:খজনক উল্লেখ করে জেলা কর্মসংস্থান কর্মকর্তা দেবব্রত ঘোষ বলেন, এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করবে সরকার।

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি মরদেহটি ফেরত আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি।-dbc

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর