নানা কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশের নৌপথ

নানা কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশের নৌপথ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বালুবাহী বাল্কহেডের রাতে চলাচল, কুয়াশাসহ একাধিক বিষয়কে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করছেন মাস্টাররা। অপরদিকে অল্প বেতনে অদক্ষ মাস্টার নিয়োগকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করেন মালিকরা। আর বিআইডব্লিউটিএ বলছে, দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রায় দুই মাসে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বিভিন্ন রুটে চারটি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ যাত্রী নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। কীর্তনখোলা নদীর বন্দর পয়েন্টে ডুবে গেছে একটি পণ্যবাহী নৌযান। এছাড়া সংঘর্ষে সবগুলো নৌযানের কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে। নানা কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে জানালেন লঞ্চের মাস্টাররা।

এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ এর মাস্টার মো. রুহুল আমিন বলেন, চ্যানেলের ভিতরে ডুবো জাহাজ থাকা, রাতে বেপরোয়া গতিতে বল গেট পরিচালনা করা, ঘন কুয়াশা, নাব্য সঙ্কট, দ্রুত গতিতে নৌযান চালানোসহ নানা কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

এমভি কুয়াকাটা-২ এর মাস্টার মো. জালাল আহমেদ বলেন, জিপিএস রার্ডার ও ইকো সাউন্ট চালানোর জন্য দক্ষতা সম্পূর্ণ জনবল রাখতে হবে।

এদিকে অল্প বেতনে অদক্ষ মাস্টার নিয়োগকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করেন মালিকরা।

এমভি সুন্দরবন লঞ্চ মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আমাদের লঞ্চগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এগুলো চালানোর জন্য দক্ষ শ্রমিক দরকার। পাশাপাশি নৌ পুলিশ, মালিক, শ্রমিকসহ সবাইকে নিয়ে মিটিং করা দরকার যাতে নৌ দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা যায়।

অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ বলছে, দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে নির্দেশনাও।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, দুর্ঘটনা রোধে লঞ্চ মালিকও শ্রমিকদের যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর সঙ্গে বরিশালসহ উপকুলীয় এলাকায় নৌপথে শতাধিক বৃহৎ নৌযান চলাচল করে। দৈনিক দেড় থেকে ২ লাখ যাত্রী এ পথে যাতায়াত করেন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর