স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরীতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ’র শিক্ষার্থীরা

প্রকৃতি তখন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে অন্যকে শীতস্নান করিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত। অবশ্য সেটাকে নিয়ম রক্ষাও বলা যায়। তবে ঠান্ডায় যে ভ্রমণ পিপাসাটা বেড়ে যায় সেটা মানতেই হয়।

রীতিমতো ঠান্ডাকে আগ্রাহ্য করেই সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ ড. শামছুজ্জোহা মুসলিম ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভোরের কুয়াশার চাদর বেদ করে স্বপ্ন নয়, অথচ স্বপ্নের মতো নির্মল নিরিবিলি এক মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরী ভ্রমণের মাধ্যমে উপভোগ করছে।

এ বিষয়ে শহীদ ড. শামছুজ্জোহা মুসলিম ছাত্রাবাসের মো. হৃদয় সেখ জানান, মূলত শিক্ষার তাগিদেই আমরা প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এক সাথে থাকি। তবে আমরা সবাই প্রচণ্ডভাবে ভ্রমণপিপাসু। অনেকদিন ধরে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না, এ নিয়ে সবারই মন খারাপ ছিলো। যা-ই হোক, শেষমেষ আমরা স্বপ্নপুরী গিয়েছিলাম, সবাই অনেক মজা করেছি।

ভ্রমনটা কিভাবে বাস্তবায়ন করলেন এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, শুধু আমরা ক’জন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভ্রমন করবো। পরে সেটা বাস্তবায়য়নের রাস্তাও আমাদের খুঁজে বের করতে হয়েছিল। সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক দেয়া হলো তাতে সবাই এ ভ্রমণে আগ্রহ প্রকাশ করলো। স্থান ঠিক হলো, বুধবার ভোর রাতে সবাই রওনা হবো।

শহীদ ড. শামছুজ্জোহা মুসলিম ছাত্রাবাসের মো. রেজা, নূরনবী, আহসান হাবিব, শামীম আহম্মেদ সহ আরও অনেকেই জানান, ভ্রমন করতে আমাদের উদ্দীপনা এতই ছিল যে, মনে হচ্ছিল সময়টা যদি আলোর বেগে যেত। ওখানকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো যেন আমাদেরই অপেক্ষায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ ড. শামছুজ্জোহা মুসলিম ছাত্রাবাসে প্রতিবেদনটি লিখতে গেলে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ভ্রমন পিপাসু মো. রুবেল আহম্মেদ দৌড়ে এসে বলেন, আমি আবার অন্যদের মতো বাসে নাক ডেকে ঘুমোতে পছন্দ করি না। ভোর রাতের নির্জনতা ক’জনই বা উপভোগ করতে পারে? আমিও এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। আমি যেন ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি, কখন গন্তব্যে পৌঁছাবো।

ভোর ৫ টা। এতক্ষণ হালকা শীত অনুভব করছিলাম। যে-ই রংপুর শহরে বাস ঢুকলো, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলাম, কেন মানুষ উওরবঙ্গের ঠান্ডাকে এত ভয় পায়! আস্তে আস্তে একটু পর ভোরের আলো ফুটতে শুরু করল। ঠান্ডাও কমে আসছে। আহ্! কী অপূর্ব মনকাড়া এক ভোরের সাক্ষী হলাম। দিনাজপুর শহরটা যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও যেন উপচে পড়ছে।

সকাল সাড়ে ১০ টায় বাস দিনাজপুরে গিয়ে পৌঁছলো। সারারাত নির্ঘুম থাকার পরেও চোখের পাতায় যেন কোন ক্লান্তি ঠাঁই পাচ্ছে না। তাড়াতাড়ি নাস্তা সেরেই বেরিয়ে পড়লাম আমরা। প্রথমেই কোথায় সেল্পি তুলবো, ভাবতেই মাথায় এলো ঐতিহাসিক স্বপ্নপুরীতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর