পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলা করায় একজনের ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলা করার কারণে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক বাদীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বাদী কেরামত আলীর মেয়ের স্বীকারোক্তিতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের রামগঞ্জ বিলাসী হাজারীপাড়া এলাকার লস্কর মুন্সির ছেলে কেরামত আলী পাশের গ্রাম প্রধানপাড়ার তার আপন ভায়রা মোশারফ হোসেনের (৪২) নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় কেরামত অভিযোগ করেন তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে মোশারফ ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। মামলাটি চলাকালে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে ওই মামলার মূল ভিকটিম কিশোরী আদালতে তার খালু মোশারফ হোসেন তার কোনো ক্ষতি করেনি বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এমনকি তার বাবা ও খালুর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি হয়েছে বলেও স্বীকারোক্তিতে বলেন ওই কিশোরী।

স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে ওই দিনই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা করে ব্যবস্থা নিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে কেরামত আলীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। এই মামলায় বাদী পক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মির্জা সারওয়ার হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।

এ বিষয়ে কেরামত আলীর আলীর স্ত্রী শাহিনা বেগম বলেন, আমাদের অভিযোগ সত্য ছিল। কিন্তু মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রামের সবাই মিলে বিষয়টি সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয়। সমঝোতা হলে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আদালতে গিয়ে মেয়েটি ওই স্বীকারোক্তি দেয়। আপোশ করতে গিয়ে উল্টো আমার স্বামীর নামেই আদালত মামলা করে এই রায় দেয়।

বার্তা বাজার/এম.সি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর