পুলিশের পোষাকে ডাকাতি, ৪৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে পুলিশের পোশাকে সংঘবদ্ধ ডাকাতিতে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার এসব অভিযোগ তোলেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদাররা।কালিপুর ও কালির বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তা স্বর্ণ শিল্পালয়,সৌরভ স্বর্ণ শিল্পালয়,দাদা-নাতি স্বর্ণ শিল্পালয়’সহ কালিবাজারের ৬টি স্বর্ণ শিল্পালয় ও মিলন ফার্মেসীর কর্তৃপক্ষ এবং গিরীদারী স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্তাধিকারী প্রশান্ত দেবনাথ সহ প্রতক্ষদর্শীরা জানান,ডাকাত দলের দু’জন পুলিশের পোশক পরিহিত ছিলো।তারা ১৪-১৫জনের একটি সংঘবদ্ধ দল।তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিলো অত্যাধুনিক ও দেশীয় অস্ত্র এবং স্থানীয় ভাষায় কথা বলছিলো।

তারা আরো জানান, ডাকাতরা কালিপুর বাজার ও কালির বাজারে মোট ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি ও লুটপাট চালায়।এতে ১০টি স্বর্ণের দোকান থেকে ৬০ হাজার টাকা ভরি প্রতি মোট ২৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ৪৬ ভরি স্বর্ণ,১ হাজার টাকা হিসেবে মোট ৯ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার ৯’শ ৫২ ভরি রোপা ও নগদ প্রায় ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা সহ আরো একটি ফার্মেসীর দোকান লুটে নেয়।এতে মোট ৪৪ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার লুটপাট করে ডাকাতরা।এ ঘটনায় প্রশান্ত দেবনাথকে ওরা মেরেধরে আহত করেছে।

এর আগে ২০১২ সালে কালির বাজারের এভাবে ৪টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছিলো।চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন,ঘটনাটি বুধবার ভোর আড়াইটা থেকে ৪ টার মাঝামাঝি সময়ে হয়েছে।এরপর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।১০টি স্বর্ণালংকারের দোকানে ডাকাতি হয়েছে।ধারনা করা হচ্ছে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকানের তালা কেটে প্রবেশ করেছে।সম্পূর্ণ ঘটনাটি লিখিতভাবে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে দেখছি।পাশাপাশি কালির বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি(অপারেশন এণ্ড ক্রাইম) এম. জাকির হোসেন খান।
তিনি জানান,কালিরবাজারে মধ্য রাতে স্পীডবোট যোগে আন্ত:জেলার ওই ডাকাত দল বাজারের উত্তর পাশের ট্রলার ঘাটে নোঙ্গর করে। এরপর কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাজারের নৈশ্যপ্রহরী নুরুল ইসলামকে হাত-পা, মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। একই ভাবে বাজারের নৈশ্যপ্রহরী আইয়ুব আলী ও আব্দুল ওহাবকেও বেঁধে রেখে বাজারের স্বর্ণকার পট্রির জীবন সরকার, কানাই বিশ্বাস, তপন বর্মণ ও সুনীল দাসের স্বর্ণের দোকানের তালা ও লোহার সিন্দুক ভেঙ্গে ডাকাতি করে।তিনি আরো জানান,এই ডাকাত দল একটি সংঘবদ্ধ দল।তারা পরিকল্পনা মাফিক এ ডাকাতি সংগঠিত করেছে। ঘটনা উৎঘাটনের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা পুলিশ,পিবিআই,সিআইডি ও নৌ-পুলিশ মাঠে কাজ করছে।আমরা প্রত্যাশা করছি খুব শীঘ্রই এ ঘটনার তথ্য উৎঘাটন করে আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে সক্ষম হবো।এরপর তিনি পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান,মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএম জহিরুল হায়াত,মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহজাহান কামাল,সিআইডি,নৌ-পুলিশ কর্মকর্তাগণ সহ ঘটনাস্থল ভালোভাবে পরিদর্শন করেন।

বার্তা বাজার / ডব্লিও.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর