ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলেই ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করেছে।
উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটিরচর নওপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (২২) পেশায় সবজি বিক্রেতা। ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় সবজি বিক্রি করেন শাহাজান মিয়া। স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করতো শাহজাহান মিয়া।
বিষয়টি স্কুলছাত্রীটি তার পরিবারকে জানালে বিচার চাওয়া হয় শাহজাহানের পরিবারের কাছে। শাহজাহানকে সাবধানও করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ১০ অক্টোবর ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে শাহজাহান মিয়া। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীটির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে স্থানীয়দের চাপের মুখে মেয়েটিকে শাহজাহানদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং কাবিন ছাড়া বিয়ে পড়ানোর কথা বলে ছাত্রীটিকে জয়দেবপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে রাখা হয়।
ছাত্রীটির মা বিয়ে নিবন্ধনের জন্য শাহজাহানের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে মেয়েটির ওপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। ওই অবস্থায় ছাত্রীটিকে নিয়ে তার মা থানায় গিয়ে হাজির হন বিচারের জন্য। পুলিশ নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে শাহজাহান মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা শেষে শাহজাহানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সজীব ঘোষ বলেন, স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বার্তাবাজার/এমকে