চাঁদপুর খ্রীষ্টিয়ান মিশন স্কুলে ২০ শিক্ষার্থীর এ প্লাস অর্জনে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী(পিইসি) ২০১৯ এর ফলাফলে চাঁদপুর খ্রীষ্টিয়ান মিশন স্কুলে ৫ম শ্রেণীর ২০ পরিক্ষার্থীর এ প্লাস অর্জনে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নামে স্কুলটিতে। শিক্ষার্থী তো বটেই এর সাথে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষও আনন্দে মেতে উঠে।

কেউ আনন্দে আবেগাপ্লুত, কেউ বা আবার অশ্রসিক্ত।কেননা এটি শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল বলে কথা। আনন্দ কোনো সীমার মধ্যে তাই বেঁধে রাখা যায়নি। সে এক অন্যরকম উল্লাস।এজন্য বাদ্যযন্ত্র, হাততালি আর নাচানাচিতে আনন্দ উদযাপন করলো শিক্ষার্থীরা।২১ জানয়ারি মঙ্গলবার এক তথ্যে জানা যায়,২০১৯ সালে চাঁদপুর খ্রীষ্টিয়ান মিশন স্কুলের হয়ে পিইসি’র পরীক্ষায় বসে ৩৯ কোমলমতি শিক্ষার্থী।

যারমধ্যে শতভাগ পাশের সাথে ২০ শিক্ষার্থী অর্জন করেছে কাঙ্খিত ‘এ’ প্লাস।স্কুলটির ৫ম শ্রেণীর ক্লাস টিচার তাছলিমা জানান,’এ’ প্লাস প্রাপ্তরা হলো মোঃ গিলমান বিন মাহবুব,মোঃ মিনহাজুল ইসলাম,সিমান্ত ইসলাম,শাহরিন রাদি,জয়িতা আহমেদ গাজী,সায়েমা ইসলাম,তানজিনা আক্তার তমা,অহনা ইসলাম ইলমা,তাসফিয়া সুলতানা লামিয়া,শাহীনুর হাবিবুর,নাঈমা রহমান,আয়েশা আক্তার ফারিয়া,নুসরাত জাহান জেরিন,ফাইজা বিনতে,ইষ্টের ত্রিপুরা ইতি,সুমাইয়া ইসলাম তীথি,মালীহা ফারজানা,ইসরাত আলমগীর,ছাদিয়া ইসলাম ও তাহমিনা আক্তার তানহা।

স্কুলটির ৫ম শ্রেণীর ক্লাস টিচার তাছলিমা আরো জানান,’এ গ্রেড’প্রাপ্ত মোট ১৬ জন হচ্ছে,মোঃ আল-আমিন(৪.৮৩),মুহাম্মদ আহনাফ তামিম খান(৪.৮৩),শাহজালাল পরান তরফদার(৪.৫০),মোঃ তাহমিদ হোসেন সরকার(৪.৫৮),ছামির হোসেন ইফাত(৪.৮৩),ডেভিড প্রতীক সিংহ(৪.১৭),মোঃ আফফান হোসেন(৪.৪২),গাজী রাইয়ান(৪.৮৩),অনিক দাস(৪.৭৫),সিহাব পাঠান(৪.০০),মন্টি রানী দাস(৪.৮৩),দিশানী ভৌমিক(৪.০০),সামিয়া আক্তার(৪.০০),সিদরাতুল মুনতাহা প্রান্ত্ত(৪.৬৭),তানজিলা আক্তার মারজানা(৪.৫০) এবং আইমুন জাহান ম্যালিসা(৪.৫০)।এ ছাড়াও”এ-” প্রাপ্ত হয়েছে ফারিয়া আলম(৩.৭৫) এবং কুলছুমা আক্তার(৩.৮৩)।আর বাকি একজন ‘সি’ গ্রেড পেয়ে পাশ করেছে।পিইসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ওই স্কুল শিক্ষার্থী ইষ্টের ত্রিপুরা ইতি জানায়,অনেক ভালো লাগছে।

এতোদিন অনেক টেনশন হচ্ছিলো। শিক্ষক ও আব্বু-আম্মুর চেষ্টায় এই সাফল্য পেয়েছি।এদিকে সন্তানের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এই স্কুলে সবসময়ই পড়াশুনার পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো।বিশেষ করে স্কুলটির শিক্ষিকারা শিশুদের পাঠদানে বেশ আন্তরিক।

তাই অভিভাবক হিসেবেও সন্তানদের এমন ফলাফলে আমরাও অনেক আনন্দিত এবং সন্তুষ্ট।চাঁদপুর খ্রীষ্টিয়ান মিশন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সীমা গাইন বলেন,স্কুলটিতে বর্তমানে সাড়ে ৬’শ এর বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।আমরা ডিজিটাল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও সমান তালে পরিশ্রম করেছেন।

আর আমাদের সকলের পরিশ্রমকে সার্থক সহ শতভাগ পাশ উপহার দিলো শিক্ষার্থীরা।২০২০ সালে আরো ভালো সাফল্য অর্জন হবে বলে প্রত্যাশা করছি।

বার্তাবাজার/এমকে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর