রাজধানীর পরীবাগে মোটরবাইকে করে মিন্টো রোড থেকে অফিসে ফেরার পথে এক পুলিশ সদস্যের হয়রানির শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন, বাংলা ট্রিবিউনের ক্রাইম রিপোর্টার শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার সাজ্জাদ মাহমুদ খান।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পরীবাগে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্রাইম রিপোর্টারদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। সংগঠনটি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সাংবাদিক শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরীবাগে যানজটে আটকে ছিলেন তারা। এ সময় বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলযোগে এক ব্যক্তি দ্রুতগতিতে এসে তার ডান পায়ে চাপা দেয়।
এতে প্রতিবাদ করার ওই ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আরও দুই তিনবার মোটরসাইকেলের পিকআপ বাড়িয়ে ঠেলতে থাকে। তার পরনে ছিল পুলিশের পোশাক।
জাহাঙ্গীর জানান, চাপা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই পুলিশ সদস্য ‘তোকে চাপা দিয়ে মাইরা ফালানো উচিত’ বলে গালাগাল করতে থাকেন। এ সময় তারা দুজন পুলিশের অপেশাদারমূলক আচরণের প্রতিবাদ করেন।
অজ্ঞাত ওই পুলিশ সদস্যের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অপেশাদার আচরণ দেখে পথচারীরাও ক্ষুব্ধ হন। কিন্তু পোশাকধারী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পাননি। এই সুযোগে ওই পুলিশ সদস্য আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাথি মেরে দ্রুত পালিয়ে যান।
সাংবাদিক সাজ্জাদ মাহমুদ খান বলেন, পুলিশের ওই সদস্য জ্যাকেট পরে থাকার কারণে তার নাম ও পদবি জানা যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর (ঢাকা মেট্রো হ-১২-৭৫০৫) লিখে রাখি। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। আমরা রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে অজ্ঞাত ওই পুলিশ সদস্যের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। দুই সাংবাদিককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
এদিকে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ক্র্যাব এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু ওই বিবৃতিতে বলেন, দুই সাংবাদিকের সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং মেরে ফেলার হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটি। অবিলম্বে জড়িত ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
বার্তাবাজার/কেএ