থানায় এসে কেউ যেন হয়রানি শিকার না হয়

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল হাসান, বিপিএম (বার) বলেছেন,‘আগে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা ছিল। পুলিশ নিয়ে একটা নেতিবাচক অবয়ব থাকতো। পুলিশের পেট মোটা হবে। ভুড়ি থাকবে। বয়স্ক হবে। নড়তে চড়তে পারে না।

সেটা কি এখন পুলিশে দেখায় ?। না। সেটি আমরা পাল্টাতে চাই। এখন পাল্টাতে তো আমাকে কাজ করতে হবে। শুধু শধু কথা বললেই তো হবে না। সাধারণ মানুষ থানায় এসে হয়রানির শিকার হতে হয়। মামলা তদন্ত করতে বাদী হয়রানীর শিকার হয়।

পাসপোর্ট তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ হয়রানী করে। একথা গুলো আমরা শুনতে চাই না। এদেশের নাগরিক হিসাবে মানুষ এধরণের সেবা পাওয়া তাঁর অধিকার। তাই আমরা এনসিওর করতে চাই, র্নিবিঘ্নে এ সেবাগুলো মানুষের কাছে পোঁছে যাবে।

আমরা সেজন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত। রাস্ট্র আমাদেরকে বেতন দেয়,ভাতা দেয়,বাসভবন দিয়েছে। চলাচলের জন্য গাড়ী দিয়েছে। সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা আমরা পাচ্ছি। বিনিময়ে আমাদের এ কাজগুলো করতে হবে’। তিনি বলেন,‘যদি কোনও পুলিশের সদস্য এর ব্যতয় ঘটায় তাহলে কিন্তু তাকে সহজে ছাড় দিব না।

বলা হচ্ছে, থানা হবে মানুষের একেবারে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। থানায় এসে কোনও মানুষ যাতে আর হয়রানীর শিকার হতে না হয়। থানা সম্পর্কে যেনো একটি নেতিবাচক কথা আমরা শুনতে না চাই। তিনি বলেন,‘মাদকের বিষয়ে অনেকে বলে,পুলিশের অনেক সদস্য নাকি মাদকের সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স। পুলিশের কোনও সদস্য যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে হয় সে বাড়ী যাবে, নয় সে জেলখানায় যাবে। এই দুইটায় হবে তার আসল জায়গা। সে আর পুলিশের ইউনির্ফমপরার অধিকার রাখে না। কিন্ত তথ্য গুলো আমাদের জানতে হবে।সে জন্য জনগনের সহযোগীতা দরকার।’

ডিআইজি কামরুল বলেন,‘শ্রীমঙ্গলে এসে দেখলাম গত কয়েকমাসে বেশ কিছু চুরি হয়েছে। এখন অনেকটা কমেছে। ২০১৮ সালে কিছু অপরাধ হয়েছে গরু চুরি। যদিও এগুলো মনে করতে পারেন ছোট মামলা। কিন্তু এগুলো প্রতিরোধের উপায় আছে।

এলাকা ভিত্তিক নিজেদেরকে সংঘটিত করতে হবে। পাহাড়া বসাতে হবে। বাজারে বাজারে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। রাস্ট্র আপনাদের সেবা দিবে। কিন্তু নিজেরাও সচেতন হওয়া দরকার। কমিউনিটি পুলিশিং ওয়ার্ড,ইউনিয়ন ও উপজেলা ভিত্তিক আরও সংঘটিত করতে হবে’।

তিনি বলেন,‘আমরা জনগনের পুলিশ হতে চাই। মানবিক পুলিশ হতে চাই। সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ থাকবে। কিন্তু জনগন আমাদের হাতে হাত ধরে এগুতে হবে। পুলিশ জনগণের সেবক। প্রজান্ত্রের কর্মচারী। পুলিশ কোন মাষ্টার না,কোনও প্রভু না। তাকে দেখলে বড় দশ হাত সালাম দিতে হবে। চেয়ারটা এগিয়ে দিতে হবে। না হলে উনি মাইন্ড করবেন এরকম কিছু না।

পুলিশ হলো-পুলিশের সাথে জনতার বন্ধুত্বের সম্পর্ক হতে হবে। তা হলেই এ সমাজ থেকে সব ধরনের অপরাধ কমে আসবে’।
মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই শ্লোগান নিয়ে বুধবার বিকেল চারটায় থানা প্রাঙ্গনে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের আয়োজনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চুরি ,ডাকাতি, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সম্প্রসারিত বিট পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কিত এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো.আনোয়ারুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রণধীর কুমার দেব, কমিউনিটি পুলিশিং এর উপদেষ্টা ডা. হরিপদ রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন ইকবাল,ওসি মো.আব্দুছ ছালেক,পরিদর্শক তদন্ত মো. সোহেল রানা, পরিদর্শক অপারেশন নয়ন কারকুনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ব্যবসায়ি,শিক্ষক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনসাধারণ।

মতবিনিময় সভায় ডিআইজি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যাদি নিয়ে বক্তব্য দেন-শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ি সমতির সম্পাদক মো.কামাল হোসেন,বেলায়েত মন্জুর,সাংবাদিক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য লিটন,বেলায়েত হোসেন,বদরুল আলম শিপলু ও কাউন্সিলর মীর এমএ সালাম,সাবেক মেম্বার ফরিদ মিয়া প্রমূখ।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর