শ্রীমঙ্গলে নিহত স্কুল ছাত্রের লাশ চুনারুঘাটের বাড়িতে দাফন, আসামী গ্রেফতার ও বিচারের দাবী পরিবারের

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রের লাশ গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গেড়ারুক গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারী) দুপরে জানাজা শেষে গেড়ারুক দিঘিরপাড় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। জানাজায় স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউপি সদস্যসহ এলাকার শত শত মুসল্লী অংশ নেন। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) রাতে স্কুল ছাত্রের লাশ গ্রামের বাড়ি এসে পৌছলে আত্বীয় স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। নিস্পাপ স্কুল ছাত্রের এমন হত্যাকান্ড কেউই মেনে নিতে পারছেন না। নিহতের পরিবার ও আত্বীয় স্বজন দ্রুত আসামী গ্রেফতার ও বিচারের দাবী করেছেন।

নিহতের নানা লিটন জমাদার বলেন, যে বা যারাই এমন নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবী করি। নিহতের পিতা দুলাল মিয়া বলেন, আমার সাথে পাড়ার কারো কোন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিলনা। তারপরও কেন আমার এ নিস্পাপ শিশু ছেলেকে এভাবে হত্যা করলো। আমি তাদের ফাসি চাই। নিহতের মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলে কারো সাথে কোন সময় ঝগড়া বিবাদ করেনি, কারো সাথে আমাদের বিরোধও নেই। কারা মেরেছে, আমি জানিনা। তবে তাদের খুজে বের করে তাদের ফাসি দাবী করছি।

উপজেলার গেড়ারুক গ্রামের দুলাল মিয়া শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে মতিন মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো। সেখানে দুলাল মিয়া গরুর মাংসের দোকান চালাত এবং তার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাতো। দুলাল মিয়ার একমাত্র ছেলে ইব্রাহিম মিয়া রকি ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে এবং একমাত্র মেয়ে প্রাইমারী স্কুলে পড়তো।

সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে মোবাইলে ফ্লেক্সি দিতে বের হলে আর ফিরে আসেনি। তাকে না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। পরদিন মঙ্গলবা (১৪ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় দক্ষিণ ভাড়াউড়ার বুড়বুড়িয়া চা-বাগানে একটি গাছের সাথে রকির মৃতদেহ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করলে খবর পেয়ে পরিবার লাশ সনাক্ত করে।

বার্তাবাজার/এইচ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর