শরীরের যে ৭টি লক্ষণ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়

শরীরের কথা কি শোনেন? অসুস্থ হওয়ার আগে স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয় বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণ, যা প্রায়ই এড়িয়ে যায় মানুষ। এড়িয়ে যাওয়ার কারণে ছোট সমস্যাও বড় আকার ধারণ করতে পারে।

চলুন জেনে নেই এমন কিছু লক্ষণ:
বুকে ব্যথা: বিভিন্ন কারণে আপনার বুকে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে কোনোটিই ভালো অর্থ বহন করে না। এমনকী মৃদু বুকে ব্যথাও হতে পারে ‘হার্ট অ্যাটাকের’ আগাম সংকেত। তাই ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। আপনার যদি নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, অবসাদ লাগে, ঘাম হয়, বুক ধড়ফড় করে অথবা যদি শুধু বুকে ব্যথা থাকে, তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

অবসাদ: ক্লান্ত অনুভব করতে পারেন যে কেউ। কিন্তু এর পেছনে কোনো না কোনো কারণ থাকে। যেমন অতিরিক্ত ব্যস্ত সময় পার করলে, ঠিকঠাক ঘুম না হলে, কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে ক্লান্ত লাগতে পারে। আপনি যদি কোনো কারণ ছাড়াই ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে এর পেছনে অন্য কারণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে অপুষ্টিজনিতব কারণে বা থাইরয়েডের সমস্যার জন্য এমন হচ্ছে। অনের রোগেরই প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে ক্লান্তি বা অবসাদ।

মাথা ব্যথা: যদি প্রায়ই মাথা ব্যথা করে তাহলে বুঝবেন, শরীর আপনাকে সংকেত দিচ্ছে। অনেকেই এর পেছনের কারণ না খুঁজে ব্যথানাশক ওষুধের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন, যা ঠিক নয়। মাথা ব্যথা রোধ করার জন্য নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে দেখতে পারেন। তাতে কোনো কাজ না হলে এর পেছনের কারণ হতে পারে অপুষ্টি, ঘুমের অভাব বা মানসিক চাপ। দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওজন কমা: যারা ওজন কমাতে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন, তাদের জন্য এটি আশীর্বাদ মনে হতে পারে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওজন কমা স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। আপনি না চাইলেও ওজন কমতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস, ভাইরাল ইনফেকশন, পেটের পীড়া, বিষণ্ণতা, এমনকী ক্যান্সারসহ অনেক রোগের লক্ষণ হঠাৎ ওজন কমা।

চুল পড়া: পুরুষদের চুল পড়লে চিকিৎসকরা সেটি অনেক স্বাভাবিকভাবেই নেন। কিন্তু নারীদের অস্বাভাবিক হারে চুল পড়া বড়সড় সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আপনার যদি গড় হারের চেয়ে অনেক বেশি চুল পড়ে এবং চুল কমে যাচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নাক ডাকা: নাক ডাকলে শুধু যে পাশে ঘুমানো মানুষটিই বিরক্ত হয়, তা নয়। এটি স্বাস্থ্য সমস্যারও ইঙ্গিত দেয়। হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নাক ডাকার। এছাড়া এতে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ কমে যায় বলে অবসাদ তৈরি হতে পারে।

অতিরিক্ত পিপাসা: দৈনিক অন্তত দুই লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যবিদরা। কিন্তু যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই পানির পিপাসা পায় এবং একটু পরপরই পানি পান করতে হয় আপনাকে? অতিরিক্ত পিপাসা হতে পারে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি সমস্যার লক্ষণ।

কারণ ছাড়া আমাদের শরীরে কিছু হয় না। সবকিছুরই কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। এসব লক্ষণ এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর