ফেনীতে স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের মানববন্ধন

সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিপীড়নের পর আগুন দিয়ে হত্যার প্রতিবাদের ও জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফেনী। নুসরাতের মৃত্যুর পর ফেনী ও সোনাগাজীতে বিভিন্ন সংগঠন টানা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। শনিবার শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নুসরাত হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্বেচ্ছাসেবক পরিবারারের ব্যানারে ফেনীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। এসময় তিনি নুসরাত হত্যা মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত লক্ষ টাকা ব্যায় হয় সম্পূর্ণ ব্যায়ভার বহন করবেন বলে ঘোষণা দেন। নুসরাত জাহান সাহসিকতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে তার জন্য একটি ভবন ও একটি রাস্তা নামকরণের ঘোষণা দেন তিনি।

খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলে, অপরাপর জড়িতদেরও গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুসিয়ারী করেন তিনি। এসময় ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরিফুল আমিন রিজভী, সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন, ফেনী পৌরসভার কাউন্সিল লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, স্বেচ্ছাসেবী মনজিলা আক্তার মিমিসহ ফেনীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ-সদস্য ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

একইদিন নুসরতার হত্যায় দোষিদের বিচারের দাবীতে সোনাগাজী সরকারী কলেজ ও পৌরছাত্রলীগ মানববন্ধন আয়োজন করে। মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নেয়ামক উল্যাহ, পৌর ছাত্রলীগের সেক্রেটারী হেলাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এদিকে নুসরাত হত্যার বিচারের দাবীতে ফুলগাজীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সোনাগাজীতে কালোব্যাচ ধারণসহ হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে নানা কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এর আগে টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ১০ এপ্রিল বৃধবার রাত নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের মান উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর