এমন জয়ের দিনেও বুক ভরা কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ধাওয়ান

ধাওয়ানের দুরন্ত ব্যাটিং ইডেনে ‘নাইট বধ’ দিল্লি। অর্থাৎ শাহরুখ খানের দলকে দুইবারের দেখায় দু’বারই হারাল সৌরভের দিল্লি ক্যাপিটালস। চলতি আইপিএলের প্রথম সাক্ষাতে কোটলায় কেকেআর-কে সুপার ওভারে হারিয়েছিল দিল্লি। আর শুক্রবার (১২ মার্চ) ইডেনে কেকেআরকে সাত উইকেটে হারাল সৌরভের দল।

ম্যাচে মাঠের নায়ক অবশ্যই শিখর ধাওয়ান।শেষমেশ শতরানের দোরগোড়ায় এসে থেমে যেতে হওয়ায় ধাওয়ানের জন্য মনখারাপের আবহও ছিল ইডেনে।কেননা, টি-টোয়েন্টিতে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেললেও এখনও সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরোননি ভারতীয় ওপেনার। ইডেনের অপরাজিত ৯৭ রানই তার আইপিএল তথা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। মূলত ধাওয়ানের চওড়া ব্যাট ও ঋষভ পন্তের ৪৬ রানের কার্যকরী ইনিংসের সুবাদে কলকাতার ঝুলিয়ে দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য অনায়াসে ছুঁয়ে ফেলে দিল্লি। সাত বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের চার নম্বরে উঠে আসে ক্যাপিটালস।

তবে সেঞ্চুরির সুযোগ ছিলো ধাওয়ানের। কিন্তু ১৯ ওভারের পঞ্চম বলে পীষুষ চাওলাকে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন ইনগ্রাম।ফলে সেঞ্চুরি হলো না ধাওয়ানের।তাই জয়ের দিনে কষ্টও কম পাননি ধাওয়ান।

এদিন প্রথমে ব্যাটিং করে কিং খানের দল।নাইটদের হয়ে আবার সেই আন্দ্রে রাসেল ঝড় তুললেন ২১ বলে ৪৫ করে। মারলেন তিনটে চার, চারটে ছয়। তার একটা স্ট্রেট ড্রাইভ নন স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়ানো কার্লোস ব্রাথওয়েটের মুণ্ডু প্রায় নিয়ে যাচ্ছিল। ব্রাথওয়েট বেঁচে গেলেন, কিন্তু নাইটরা বাঁচল না। বোঝা গেল, রোজ রোজ একা রাসেল বাঁচাতে পারবেন না। এদিন দলের আরেক তারকা শুভমান গিলও দারুণ ব্যাট চালিয়েছেন।তিনি ওপেনে নেমে ৩৯ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে কেমো পুলের হাতে ধরা পড়েন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর