নুসরাত হত্যার তদন্তে সোনাগাজীতে মানবাধিকার কমিশন

সোনাগাজীতে নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাটি তদন্তে জাতীয় মানবাধিককার কমিশনের একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শুক্রবার সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (তদন্ত) আল মাহমুদ ফয়জুল কবিরের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের তদন্ত দলটি ঘটনাস্থল সোনাগাজী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করে। এ সময় বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে।

তদন্তদলে আল মাহমুদ ছাড়াও কমিশনের উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম রয়েছেন। এর আগে গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকালে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠি নিশাতকে ছাদের উপর কেই মারধর করেছে এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের তিন তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মোকসুদ আলমসহ ৮ জনের মান উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নীপিড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি রিমান্ডে রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর