মসজিদে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ: গ্রেপ্তার ৫ শিক্ষক

চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থিত ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র মো. হাবিবুর রহমানের (১১) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) নিহত হাবিবুর রহমানের বাবা আনিসুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়ের হওয়ার পর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক তারেকুর রহমান ও অধ্যক্ষ আবু দারদাসহ পাঁচ শিক্ষককে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাকি তিন শিক্ষক হলেন মো. জোবায়ের, মো. আনাস আলী ও মো. আব্দুস সামাদ।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেছেন হাবিবুরের বাবা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, মামলার এজাহারে তারেক ও আবু দারদার নাম উল্লেখ করে সন্দেহভাজন আরো ছয়-সাতজনকে আসামি করেছেন আনিসুর। ওসি আরো বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও হাফেজ তারেকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। মামলা হওয়ার পর তাদের পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তে অন্য যাদের নাম আসবে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।

গত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে নগরীর ওয়াজেদিয়া এলাকা অবস্থিত ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদ থেকে হাবিবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে হাবিবের পরিবার। হাবিবকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। হাবিব ওই মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণিতে পড়ত। তাদের গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়ায়। তার বাবা আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীতে অটো রিকশা চালান। তবে তাদের পরিবার থাকে শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায়। আর মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করত হাবিব।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর